Purulia News: পঞ্চায়েত নির্মাণ সহায়ককে মানসিকভাবে নিগ্রহের অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল
TMC Accused in Harassment Case: পঞ্চায়েত নির্মাণ সহায়ককে মানসিকভাবে নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত বেড়ো গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান,উপপ্রধান সহ তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি, কর্মীদের বিরুদ্ধে।
হংসরাজ সিংহ, পুরুলিয়াঃ পঞ্চায়েত নির্মাণ সহায়ককে মানসিকভাবে নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত বেড়ো গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান,উপপ্রধান ,সদস্য সহ তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি এবং কর্মীদের বিরুদ্ধে (Purulia TMC Accused in Harassment Case)। পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুর ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত বেড়ো গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক অশোক বিশ্বাস এই মর্মে বি.ডি.ও থেকে শুরু করে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে এবং রঘুনাথপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন, মোদি মডেলে মাথায় টুপি, সিঙ্গুরের স্কুলে আজ 'রিডিং ফেস্টিভ্যাল ২০২২'
পঞ্চায়েতে গিয়ে কাজ করতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে প্রশাসনের কাছে জানিয়েছেন ওই নির্মাণ সহায়ক
অভিযোগে তিনি দাবি করছেন, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ও কর্মী। ওই ঘটনার পরে পঞ্চায়েতে গিয়ে কাজ করতে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে প্রশাসনের কাছে জানিয়েছেন ওই নির্মাণ সহায়ক। তার বক্তব্য দুর্নীতির সাথে আপোষ করতে জোর দিচ্ছে প্রধান , উপপ্রধান। তাতে মদদ যোগাচ্ছে তৃণমূলের স্থানীয় নেতা ও কর্মীরা। এই অবস্থায় পঞ্চায়েতে কাজ করতে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। আপাতত তিনি ব্লক কার্যালয়ে বসে কাজ করছেন।
'পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়কের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন' দাবি প্রধান-সহ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি, তৃণমূল কর্মীদের
অপরদিকে, 'পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়কের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন', বলে পাল্টা দাবি করেন প্রধান সহ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি এবং তৃণমূল কর্মীরা। তাদের পাল্টা অভিযোগ, 'ওই নির্মাণ সহায়ক পঞ্চায়েতে দুর্নীতির কাজে যুক্ত। সেটা ঢাকতেই মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। বিডিও জানান, পঞ্চায়েত নির্মাণ সহায়ককে পঞ্চায়েতের প্রধান ও সদস্যরা সহ কিছু স্থানীয় লোক চাপ সৃষ্টি করে নিয়ম বহির্ভূতভাবে কাজ করানোর চেষ্টা করছে। উনি একজন সরকারি কর্মচারী।উনি এই বিষয়ে আমাকে অভিযোগ জানিয়েছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।'
'অনৈতিকভাবে একজন সরকারি কর্মচারীকে অবৈধ কাজ করার জন্য বাধ্য করা হচ্ছে'-জেলা বিজেপির সহ সভাপতি
বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করে জেলা বিজেপির সহ সভাপতির দাবি,' নৈতিকভাবে অর্থ উপার্জনের আখড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি, তাই অনৈতিকভাবে একজন সরকারি কর্মচারীকে অবৈধ কাজ করার জন্য বাধ্য করা হচ্ছে। বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদকের দাবি দলগতভাবে ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।'