Raater Sathi: 'নাইট ডিউটি থেকে মেয়েদের বিরত রাখার নির্দেশ লজ্জার', 'রাতের সাথী' নির্দেশিকায় বিতর্ক
RG Kar Doctor Death Case: শনিবার বিকেলে রাজ্য় সরকারের তরফে যে নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়,তা নিয়ে বিতর্ক।
কলকাতা: আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। সেই আবহেই কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের নিরাপত্তায় জোর দিতে 'রাতের সাধী' প্রকল্প এনেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সরকারি-বেসরকারি ক্ষেত্রে একাধিক আচরণবিধি মেনে চলার নির্দেশ রয়েছে তাতে, যার মধ্যে মেয়েদের নাইট ডিউটি থেকে বিরত রাখার চেষ্টা চালানোর উল্লেখও রয়েছে। এই নির্দেশটি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক বেঁধে দিয়েছে। (Raater Sathi)
শনিবার বিকেলে রাজ্য় সরকারের তরফে যে নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়, তাতে নাইট ডিউটিতে মেয়েরা থাকলে মহিলা নিরাপত্তারক্ষী, মহিলা ভলান্টিয়ার, পুলিশের কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে সংযুক্ত মোবাইল অ্যাপ ব্যবহারের একাধিক নির্দেশ ছিল। সেই সঙ্গেই, যতটা সম্ভব মেয়েদের নাইট ডিউটি থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। (RG Kar Doctor Death Case)
মেয়েদের নাইট ডিউটি থেকে বিরত রাখার এই অংশটিই বিতর্কের উদ্রেক করেছে। এ নিয়ে সরব হয়েছেন অনেকেই। এবিপি আনন্দে মুখ খোলেন শিক্ষাবিদ মারীতুন নাহার। তাঁর কথায়, "রাতে মেয়েদের কম ডিউটি দেওয়া হবে। তাহলে এই সত্যকেই প্রতিষ্ঠা দেওয়া হল যে, রাত মেয়েদের জন্য নিরাপদ নয়। রাত পুরুষ আক্রমণকারীদের। এটি সমস্ত মানুষের জন্য লজ্জার।"
সমাজকর্মী শাশ্বতী ঘোষ বলেন, "দিন ও রাতের সমান অধিকারের জন্য যখন লড়াই চলছে, সেই আবহে এই ধরনের নির্দেশ কী মেয়েরা চান? আমরা চাই, মেয়েদের জন্য কর্মক্ষেত্রগুলি নিরাপদ হোক।" গতকাল ওই নির্দেশিকা সামনে আসার পর থেকেই বিতর্ক বেঁধেছে। সরকার নিরাপত্তা দিতে অক্ষম বলেই মেয়েদের নাইট ডিউটিতে না রাখার নিদান দেওয়া হচ্ছে বলে উঠছে অভিযোগ।
আর জি কর কাণ্ডের পর নির্যাতিতা অত রাতে সেমিনার হলে কী করছিলেন, সেই প্রশ্ন ওঠে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে। সেই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা শুরু হয়, যার ফলশ্রুতি মেয়েদের রাত দখল অভিযান। দিন হোক বা রাত, পুরুষদের মতো মেয়েরাও যাতে যে কোনও সময় নিরাপদে বাইরে বেরোতে পারেন, সেই নিয়ে যাতে তাঁদের দিকে আঙুল তোলা না হয়, এই দাবিই উছে আসছে লাগতারা। সেই আবহে রাজ্য সরকারের এমন নির্দেশিকা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মেয়েদের নিরাপত্তা দেওয়ার কাজ সরকারের। সেই কাজ না করে, সরকার মেয়েদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে বলে অভিযোগ উঠছে।