Raju Jha Murder Case: রাজু খুনে কী সূত্র লুকিয়ে ওখানে ? ব্যবসায়ীর অফিস সিল পুলিশের
Police on Raju Jha Murder Case: রাজু খুনে গুরুত্বপূ্র্ণ সূত্র লুকিয়ে ব্যবসায়ীর অফিসে ? প্রশ্নের সমুদ্রের মাঝেই এদিন দুর্গাপুরে ব্যবসায়ীর অফিস সিল করল পুলিশ।
পশ্চিম বর্ধমান: রাজু খুনে (Raju Jha Murder Case) গুরুত্বপূ্র্ণ সূত্র লুকিয়ে ব্যবসায়ীর অফিসে ? প্রশ্নের সমুদ্রের মাঝেই এদিন দুর্গাপুরে ব্যবসায়ীর (Businessman Office) অফিস সিল করল পুলিশ। মূলত শক্তিগড়ে কয়লা মাফিয়া খুনের ১৯ দিনের মাথায় এদিন প্রথম গ্রেফতার করা হয়। দুর্গাপুর থেকে অভিজিৎ মণ্ডল নামে এক অভিযুক্ত গ্রেফতার বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটির বাসিন্দা অভিজিৎ কাজ করতেন দুর্গাপুরে একটি সংস্থায়। ওই সংস্থার ধৃত অভিজিৎ ব্যবসায়ী নারায়ণ খাড়কার গাড়ির চালক বলে দাবি পুলিশ সূত্রে। এবার ব্যবসায়ী নারায়ণ খাড়কার অফিসে হানা দিল সিট। যদিও, ধৃতকে নিজের গাড়ির চালক বলে মানতে নারাজ ব্যবসায়ী নারায়ণ খাড়কা। গাড়ির চালক নয়, সাইট ইনচার্জ হিসেবে সংস্থায় কাজ করার দাবি ব্যবসায়ীর।
'নিখুঁত অপারেশনে' খুন হয়েছিলেন কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা। শক্তিগড়ে রাস্তায় উপর রাজুর গাড়ি ঘিরে পরপর গুলি করেছিল দুষ্কৃতীরা। রাজু ঝা খুনের আততায়ীদের পরিকল্পনা এতটাই নিখুঁত ছিল যে, ব্যালেনো গাড়িটির ইঞ্জিন এবং চেসিস নম্বর নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, গাড়িতে যে ৫টি নম্বর প্লেট উদ্ধার হয়েছে, তার মধ্যে ৪টির রেজিস্ট্রেশন অন্য কোনও ব্যালেনো গাড়ির নামে। পরে গাড়ির আসল মালিক খুঁজে বের করা হয়। তদন্তে উঠে আসে আরও চমকে দেওয়া তথ্য। আততায়ীদের নীল ব্যালেনো গাড়ির চেসিস ও ইঞ্জিন নম্বর রিকভার করে জানা যায়, গাড়িটি হরিয়ানার গুরগাঁওয়ের বাসিন্দার। দিল্লির জনকপুরী থেকে চুরি যায় গাড়িটি। পুলিশ সূত্রে খবর, এই নীল ব্যালেনো গাড়িটি প্রায় একমাস ধরে ঘুরেছে রানিগঞ্জ, আসানসোল, দুর্গাপুর, বীরভূমে। তারপর এই গাড়ি চেপে শক্তিগড়ে আসে সুপারি কিলাররা।
আরও পড়ুন, 'বাড়িতে অত্যাচার চালানো হত মুকুল রায়ের উপর', বিস্ফোরক দাবি দিলীপের
দিনকয়েক আগে, কয়লামাফিয়া রাজু ঝা খুনের তদন্তে হাজারিবাগ জেলের প্রবেশপথ ও বাইরের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের জন্য আদালতে আবেদন জানায় SIT. তারপরই এই জল্পনা জোরাল হচ্ছে। আবেদন মঞ্জুরও করেছে বর্ধমানের সিজিএম আদালত। পয়লা এপ্রিল, শক্তিগড়ে ভরসন্ধেয় রাজু ঝার হত্য়ারহস্য সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানাবে। তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই সামনে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। খুনের সময়ের CCTV ফুটেজে শার্পশ্যুটারদের দেখা যায়। সূত্রের খবর, শুধুই পেশাদার শার্পশ্যুটাররাই নয়, মনে করা হচ্ছে নেপথ্যে সক্রিয় ছিল উত্তরপ্রদেশ ও বিহারজুড়ে জাল বিছিয়ে রাখা শার্প শ্যুটাররা।