Manik Bhattacharya: 'মানিকের নিয়োগ বেআইনি ছিল..', বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে হলফনামা UGC-র
HC UGC On Manik: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে দানিশ ফারুকির দায়ের করা মামলায় হলফনামা দিয়ে জানাল ইউজিসি।
কলকাতা: বাম আমলে এবার মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) অধ্যক্ষ পদে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ। '১৯৯৮-তে যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের অধ্যক্ষ পদে মানিক ভট্টাচার্যর নিয়োগ বেআইনি ছিল', বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে দানিশ ফারুকির দায়ের করা মামলায় হলফনামা দিয়ে জানাল ইউজিসি (UGC)।যোগেশচন্দ্র কলেজে অধ্যক্ষদের বেআইনি নিয়োগ-সহ বিভিন্ন অভিযোগে দায়ের মামলায় হলফনামার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
আগেও একাধিক পদক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্টের
প্রসঙ্গত, যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের অধ্যক্ষকে আগেই অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ল কলেজের অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্যকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেসময় কলকাতা হাইকোর্টের তরফে অধ্যাপকের কলেজে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল ইউজিসি নির্ধারিত যোগ্যতা না থাকার জন্য এই অপসারণ বলে জানিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
'উপযুক্ত যোগ্যতা না থাকা সত্বেও বেশ কিছু অধ্যাপক নিযুক্ত করেছিলেন মানিক ভট্টাচার্য'
যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল' কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে মানিক ভট্টাচার্যের নিয়োগ নিয়ে আদালতে একটি মামলা হয়েছিল। সেখানে অভিযোগ করা হয়েছিল, উপযুক্ত যোগ্যতা না থাকা সত্বেও বেশ কিছু অধ্যাপক নিযুক্ত করেছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। মানিক ভট্টাচার্য নিযুক্ত অধ্যাপকরা বেশ কিছু দুষ্কৃতীকে নিজেদের স্বার্থে প্রশয় দিচ্ছে। এই দুষ্কৃতীরা কলেজকে নিজেদের আখড়ায় পরিণত করেছে। এই মামলায়, পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধেও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করা হয়েছিল। ওই দুষ্কৃতীদের হাজির করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি।এই মামলার নির্দেশ দেওয়ার সময় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, 'যেখানেই দুর্নীতি মাথাচারা দেবে আমি সেখানেই হস্তক্ষেপ করব।'
আরও পড়ুন, 'কুয়াশার কারণে রাস্তা চেনা যাবে না', অ্য়াম্বুল্যান্স-সাফাইয়ে টোটোতেই সন্তান প্রসব ! অবস্থান BJP-র
'ন্যায়বিচারের স্বার্থে সকলের বক্তব্য শোনা দরকার'
যদিও এরপরে যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজ মামলায় (Jogesh Chandra Chowdhury Law College Case) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশ আংশিক খারিজ হয়েছিল। অধ্যক্ষা সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কাকে অপসারণের নির্দেশ খারিজ করেছিল ডিভিশন বেঞ্চ। 'অধ্যক্ষা সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কাকে তাঁর অফিসে বাধাহীন ভাবে ঢুকতে দিতে হবে। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দ্বায়িত্ব হস্তান্তর করবেন। অধ্যক্ষকে অক্টোবর মাসের বেতন দেওয়ার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে গভর্নিং বডি', নির্দেশ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের। 'ন্যায়বিচারের স্বার্থে সকলের বক্তব্য শোনা দরকার। শুধুমাত্র টেলিফোনিক বাক্যালাপের মাধ্যমে অধ্যক্ষকে অপসারণের নির্দেশ জারি না করলেই পারত সিঙ্গেল বেঞ্চ', মন্তব্য বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর।এরপর মূল মামলা ফেরত গিয়েছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে।