RG Kar Case: ষষ্ঠীর পর সপ্তমী, আজও 'অভয়া পরিক্রমা'য় বাধা পুলিশের, গার্ডরেল ভেঙে এগোচ্ছেন আন্দোলনকারীরা..
RG Kar Case Abhaya Poricroma: ষষ্ঠীর পর সপ্তমী, আজও অভয়া পরিক্রমায় বাধা পুলিশের,
কলকাতা: ধর্মতলা মোড়ে অভয়া পরিক্রমায় বাধা পুলিশের। গন্তব্য ছিল উত্তর কলকাতা। ষষ্ঠীর পর সপ্তমী, আজও অভয়া পরিক্রমায় বাধা পুলিশের। সপ্তমীর সন্ধ্যেয় মিছিলে আপত্তি পুলিশের। যদিও পুলিশের বাধা অগ্রাহ্য করে গার্ডরেল ভেঙে এগিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।
এদিন এক আন্দোলনকারী বলেন,' বাধা আমরা প্রতিবারই পেরোব। এবং এই অনৈতিক যেগুলি করা হচ্ছে, সরকারের পক্ষ থেকে, তার তো কোনও ভিত্তি নেই। ফলে কীসের উপর ভিত্তি করে আমাদের প্রতিবার আটকানো হবে ? এটাই আমরা জানতে চাই পুলিশের কাছে।' গতকাল জুনিয়র ডাক্তারদের অভয়া পরিক্রমা নিয়ে ধুন্ধুমারকাণ্ড হয়েছিল ধর্মতলায়। গাড়ি বেরতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। জুনিয়র ডাক্তারদের পাশাপাশি সরব হন সাধারণ মানুষও। কখনও আটকে দেওয়া হল মিনিডোর । কখনও চাবি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে।এক জুনিয়র চিকিৎসক বলেন, ওঁরা জানত যে আমরা ম্য়াটাডোরে যাব। কিন্তু, তখন ওঁরা মানা (বারণ) করেনি যে ম্য়াটাডোরে করে যাওয়া যাবে না। এখন এসে বলছে যে না পণ্য়বাহী গাড়ি যাবে না। কখনও পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ালেন আন্দোলনকারীরা।আবার কেউ ধরেছিলেন পুলিশের পা।
পুলিশের পা ধরে অনুমতির আবেদন জানিয়েছিলেন যিনি, সেই মহিলার বক্তব্য, বাধ্য হলাম, মনুষ্যত্ব জাগাতে। যে আমি ওনাকে বললাম, আমার ৫৬ বছর বয়স। হয়তো আপনার বয়স আমার থেকে কম। আমি বড় হয়ে আপনার পায়ে ধরছি। যাতে এটা না বলতে পারে যে, পুলিশের গায়ে হাত উঠেছে। আমরা মহিলা হয়ে, ওনার মনুষ্যত্ব জাগানোর জন্য এটুকুই অনুরোধ করেছি যে, আপনি ওই গাড়ির চাবিটা খুলে দিন। আমরা ৪৫ মিনিট ধরে ওনাকে অনুরোধ জানাচ্ছি। যে এটা তো এমন নয় যে ঠেলে নিয়ে যাব। কিন্তু উনি কোনও কথাই বলছেন না। শেষঅবধি আমরা চেষ্টা করলাম, যদি মনুষ্যত্ব একটা জাগানো যায়, কিন্তু সেখানেও ব্যর্থ !'
যদিও নিজের সিদ্ধান্তে গতকালও অটুট ছিল কলকাতা পুলিশ। এদিন কলকাতা পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, এইরকম কোনও অনুমতি ছিল না। তাই আমরা কোনও অনুমতি ছাড়া, এই ধরনের মিছিলকে কোথাও যেতে দিতে পারি না। সেই জন্য এর আগেও ওনাদেরকে সেন্ট্রালে আটকানো হয়েছে। ওনারা ,সেটা শোনেননি। ওনারা সেখান থেকে বেরিয়ে, কয়েকজন এসেছেন। তো তাঁদেরকে এখানে আটকাতে বাধ্য করা হয়েছে।.. কোনটা ঠাকুর দেখার ভিড় আর কোনটা মিছিল, সেটা বোঝাই যায়। আমরা সেটা বুঝতে পারছি। সেই জন্য আমরা এনাদের আটকেছি।'