RG Kar Protest : দেহ উদ্ধারের পরে ভিড়ে মিশে সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ প্রসূন, ন্যাশনাল মেডিক্যালের DTP অপারেটর সেখানে কেন?
RG Kar CCTV Footage : দেহ উদ্ধারের পরে ভিড়ে মিশে ন্য়াশনাল মেডিক্য়ালের DTP অপারেটর সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ প্রসূন, CCTV ফুটেজে রহস্য
সন্দীপ সরকার, কমলকৃষ্ণ দে, সন্দীপ সমাদ্দার, কলকাতা : আর জি কর-কাণ্ডে নতুন বিতর্ক উস্কে দিয়েছে এই ভাইরাল ভিডিও এবং তা নিয়ে কলকাতা পুলিশের দাবি। সোমবার সামনে আসে এই ভাইরাল ভিডিও । এই ভিডিওতে দেখা যায়, মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধারের পরেই সেমিনার রুম যেন মেলা। সেখানে বহু মানুষের উপস্থিতি। প্রশ্ন ওঠে, ঘটনার পর অকুস্থলে এতজন বহিরাগত কী করছিলেন? এতজন বহিরাগতর ঢোকা বেরনোর ফলে তথ্য় প্রমাণ নষ্ট হয়নি তো? এই নিয়ে ব্য়াখ্য়া দেওয়ার চেষ্টা করে কলকাতা পুলিশ।
ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্য়ায় বলেন, ওই ঘরটি ৪০ ফুট অবধি পুলিশ কর্ডন করে রেখেছিল। যে ভিডিওটা প্রকাশ্যে এসেছে, সেটা ৪০ ফুটের বাইরে। সেখানে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। পরিবারের সদস্য় ছিলেন, পুলিশকর্মী ছিল, হাসপাতালের কর্মী ছিল, অনেক ডাক্তারবাবুরা ছিলেন।
কিন্তু ওই সময় এমন অনেকেই ছিলেন, যাঁরা আরজি করের সঙ্গে একেবারেই সম্পর্কিত নন। তাঁদের সম্পর্ক সূত্র একটাই। তাঁরা সন্দীপ ঘনিষ্ঠ। পুলিশের এই দাবিতে বিস্মিত ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের অনেকেই। তাঁদের দাবি, যে সেমিনার হলে চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়, তার পুরোটাই তো অকুস্থল। সেখানকার ঢোকা-বেরনোর একটিই রাস্তা খোলা ছিল। যে বা যারা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত তারা সেখান দিয়েই ঢুকেছিল। সেই রাস্তা দিয়ে বাকিরা যাওয়া আসা করার ফলে কি সেই তথ্য়প্রমাণ নষ্ট হয়নি?
আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজের সেমিনার হলের এই ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে একাধিক বহিরাগতকে। যার মধ্য়ে ছিলেন প্রসূণ চট্টোপাধ্য়ায় নামে এক ব্য়ক্তি। যিনি ন্য়াশনাল মেডিক্য়াল কলেজের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর। সন্দীপ ঘোষের অত্য়ন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। ন্য়াশনাল মেডিক্য়ালের পড়ুয়া চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, ন্য়াশনাল মেডিক্য়ালের হাজিরা খাতায় সই করে, প্রসূন প্রতিদিন চলে যেতেন আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজে।
যদিও, ন্য়াশনাল মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে দাবি, প্রসূন মর্নিং ডিউটি করেন। দুপুরে ছুটির পর তিনি কোথায় যাবেন, সেটা কর্তৃপক্ষের জানার কথা নয়। তবে ন্য়াশনাল মেডিক্য়ালের পড়ুয়ারা এসব কথায় কান দিতে রাজি নন। সোমবার আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজের ভাইরাল ভিডিওতে প্রসূনকে দেখা যাওয়ার পর, বিক্ষোভে নামেন তাঁরা।
গোটা হাসপাতাল চত্বরে প্রসূনের ছবি দিয়ে মিসিং লিখে দেওয়া হয়। ন্য়াশনাল মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে দাবি, মঙ্গলবারও হাজিরা খাতায় সই করেন প্রসূন। তারপর হাফ সিএল নিয়ে বাড়ি চলে যান।
সেমিনার হলের ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ আইনজীবী শান্তনু দেকেও। ভাইরাল ভিডিওতে বর্ধমান মেডিক্য়াল কলেজের ফরেন্সিক বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট বিবেক ভক্তকে। বর্ধমান মেডিক্য়ালের চিকিৎসক ওই দিন আর জি কর মেডিক্য়ালে কী করছিলেন? উঠেছে সেই প্রশ্নও।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।