RG Kar Update: সঞ্জয় রায়কে আড়ালের জন্য় কী কী ষড়যন্ত্র করেছিলেন টালা থানার ওসি? বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনল CBI
RG Kar News : 'টালা থানার ওসি তথ্যপ্রমাণ এবং নমুনা সংগ্রহের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার ভিডিও রেকর্ডিংও করেননি। এর উদ্দেশ্য ছিল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় এবং অন্য় অজ্ঞাতপরিচয় অভিযুক্তদের সুবিধা করে দেওয়া।'
![RG Kar Update: সঞ্জয় রায়কে আড়ালের জন্য় কী কী ষড়যন্ত্র করেছিলেন টালা থানার ওসি? বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনল CBI RG Kar Update CBI Claims Tala PS OC Abhijit Mondal Tried To Hide Evidence Against Sanjay Ray In Doctor Murder Case RG Kar Update: সঞ্জয় রায়কে আড়ালের জন্য় কী কী ষড়যন্ত্র করেছিলেন টালা থানার ওসি? বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনল CBI](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2024/09/16/18ba775c5f97c21194a71a0014761b4c172647420849753_original.png?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
প্রকাশ সিন্হা, সৌভিক মজুমদার ও হিন্দোল দে, কলকাতা : আর জি কর ধর্ষণ, খুন-কাণ্ডে সঞ্জয় রায়কে আড়ালের জন্য় ষড়যন্ত্র করেছিলেন টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল? রবিবার আদালতে এরকমই বিস্ফোরক দাবি করল সিবিআই। রিমান্ড লেটারে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফে দাবি করা হয়েছে, এই অপরাধে সঞ্জয় রায়ের ভূমিকার কথা ১০ অগাস্ট জানা গেলেও, পোশাক এবং অন্য় সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করতে দু'দিন দেরি করা হয়। CBI সোমবার যে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করে আদালতে তার মধ্যে ছিল, 'সঙ্গে সঙ্গে অকুস্থল কর্ডন না করা, তথ্য়প্রমাণ নষ্টের উদ্দেশ্য নিয়ে তদন্ত করা, তদন্তের অভিমুখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা, অভিযুক্তর পোশাক বাজেয়াপ্ত করতে দেরি' এরকম একের পর এক দাবি করেই, টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে সিবিআই। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় এজেন্সির চাঞ্চল্য়কর দাবি, ধৃত ওসি-র ষড়যন্ত্রের অন্য়তম উদ্দেশ্য় ছিল সঞ্জয় রায়কে আড়াল করা।
টালা থানার ওসি, ধৃত অভিজিৎ মণ্ডলকে রবিবার আদালতে পেশ করে সিবিআই। তাদের রিমান্ড লেটারে দাবি করা হয়, টালা থানার ওসি তদন্ত শুরুই করেছিলেন তথ্য়প্রমাণ নষ্টের অসৎ উদ্দেশ্য় নিয়ে। সম্ভাব্য অভিযুক্তদের সঙ্গে মিলে, সঞ্জয় রায়কে আড়ালের মতো ষড়যন্ত্র অবধি করেছিলেন টালা থানার ওসি। সিবিআইয়ের রিমান্ড লেটারে আরও দাবি করা হয়েছে, এই অপরাধে সঞ্জয় রায়ের ভূমিকার কথা ১০ অগাস্ট সকালেই জানা গিয়েছিল। তারপরও তাঁর পোশাক এবং অন্য় সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করতে ২দিন দেরি করা হয়। আর জি কর মেডিক্য়ালে ধর্ষণ, খুনের ঘটনার পর, সামনে আসা ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছিল সেখানে ভিড় করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অনেকে। এরপরই প্রশ্ন ওঠে, এরকম একটা ঘটনার পর অকুস্থলে এতজন কী করছিলেন? এতজনের ঢোকা বেরনোর ফলে তথ্য় প্রমাণ নষ্ট হয়নি তো? এই নিয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করে কলকাতা পুলিশ। এছাড়াও রবিবার আদালতে পেশ করা রিমান্ড লেটারে সিবিআই দাবি করেছে, প্রমাণ সংরক্ষণের জন্য় অকুস্থল কর্ডন করেননি টালা থানার ওসি। এর ফলে অনেকে সেখানে ঢুকে পড়ে, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য়প্রমাণ নষ্ট হয়। এভাবেও সঞ্জয় রায় এবং অন্য়দের আড়ালের চেষ্টা হয়ছিল। টালা থানার ওসি তথ্যপ্রমাণ এবং নমুনা সংগ্রহের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার ভিডিও রেকর্ডিংও করেননি। এর উদ্দেশ্য ছিল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় এবং অন্য় অজ্ঞাতপরিচয় অভিযুক্তদের সুবিধা করে দেওয়া। দাবি তদন্তকারী অফিসারদের।
আরও পড়ুন, ইচ্ছে করেই হাসপাতালে দেরিতে আসেন ওসি! দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের দাবি উঠতেই তড়িঘড়ি শেষকৃত্য? রিমান্ড লেটারে CBI-এর বিস্ফোরক দাবি
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)