বাংলা থেকে সিকিম যাত্রা আরও সহজ, ২০২৩-এই গড়াবে সেবক থেকে রংপো রেলওয়ের চাকা
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার আনসুল গুপ্ত জানাচ্ছেন, পর্যটক ও সিকিমের যাত্রীরা ২০২৩ সালেই রেলপথ ব্যবহার করে যাতায়াত করতে পারবেন। এর ফলে একদিকে পর্যটনের বিকাশ ঘটবে।
সনৎ ঝা, দার্জিলিং: সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৩-এই গড়াবে সেবক থেকে রংপো রেলওয়ের (Rongpo) চাকা। শনিবার (Saturday) এলাকা পরিদর্শন করেন এমনই জানালেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের (North-west Railway) জেনারেল ম্যানেজার (Railway General Maneger)। ঠিক হয়েছিল ২০২০-র মধ্যে শেষ হবে কাজ। অতিরিক্ত এই সময় নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
লক্ষ্য, সমতল থেকে ট্রেনে করে পাহাড়ে যাওয়া, বাংলা থেকে সিকিম (Sikkim) যাত্রাকে আরও সহজ করে তোলা। রেল মানচিত্রে সিকিমকে যুক্ত করতে শিলিগুড়ির কাছে সেবক (Sevak) থেকে রংপো (Rangpo) পর্যন্ত পাতা হচ্ছে রেললাইন।
২০২৩-এ শেষ হবে সেবক-রংপো রেললাইনের (Sevok Rangpo Railway) কাজ। শনিবার এলাকা পরিদর্শন করেন জানালেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার আনসুল গুপ্ত জানাচ্ছেন, পর্যটক ও সিকিমের যাত্রীরা ২০২৩ সালেই রেলপথ ব্যবহার করে যাতায়াত করতে পারবেন। এর ফলে একদিকে যেমন পর্যটনের বিকাশ ঘটবে, তেমনি সিকিমে শিল্পের গতি আরো ত্বরান্বিত হবে। পাহাড়ে ধ্বস ও জমি জটের কারনে কাজে বেশ কিছু টা সময় নষ্ট হয়ে গেছে। এখন আর সেই সমস্যা নেই।
রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ২০০৯ সালে এই রেলপথের শিলান্যাস করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ঠিক হয়েছিল ২০২০-র মধ্যে শেষ হবে কাজ। কিন্তু সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হওয়ায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
দার্জিলিং তৃণমূল কংগ্রেসের (Darjeeling Trinamool Congress) মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত জানিয়েছেন, কাজ হয়েছে ভালো কথা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলে আরও আগে হত।
শিলিগুড়ির (Siliguri) বিজেপি (BJP) বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ জানিয়েছেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে যে মোদি আলাদা গুরুত্ব দেন, সেটাই ফের প্রমাণিত হল। আলাদা দিশা দেবে, সুরক্ষার জন্য গুরুত্ব পাবে।
সেবক থেকে রংপো, এই রেলপথ প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। এর মধ্যে দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় পড়ছে ৪১ দশমিক ৫৪ কিলোমিটার। বাকি ৩ দশমিক ৪৪ কিলোমিটার সিকিমের মধ্যে। এখন অপেক্ষা ট্রেনের চাকা গড়ানোর।