Birbhum News: সিকিমে হড়পা বানে মৃত জওয়ানকে গান স্যালুট ময়ূরেশ্বরের গ্রামে, কান্নায় ভেঙে পড়ল পরিবার
Mayureshwar: ময়ূরেশ্বর নান্দুলিয়া গ্রামের গোপাল মাড্ডি সিকিমে হরভজন সিং বাবা ধাম থেকে ডিউটি করে বিন্নাগুড়িতে ফেরার পথে নিখোঁজ হয় যান
ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, ময়ূরেশ্বর : সিকিমে হড়পা বানে মৃত জওয়ানের দেহ ফিরল গ্রামের বাড়িতে। গান স্যালুটে জানানো হল শেষশ্রদ্ধা। কান্নায় ভেঙে পড়ল মৃত গোপাল মাড্ডির পরিবার।
বীরভূমের (Birbhum) ময়ূরেশ্বর নান্দুলিয়া গ্রামের গোপাল মাড্ডি সিকিমে হরভজন সিং বাবা ধাম থেকে ডিউটি করে বিন্নাগুড়িতে ফেরার পথে নিখোঁজ হয় যান। এরপর গত বৃহস্পতিবার জওয়ানের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
আজ দুপুরে তাঁর দেহ পৌঁছায় গ্রামে। গান স্যালুট দিয়ে তাঁকে সম্মান জানানো হয়। সম্পূর্ণ হয় শেষকৃত্য। ঘটনার আকস্মিকতায় কান্নায় ভেঙে পরে তাঁর পরিবার। উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ।
সিকিমে হড়পা বানে (Sikkim Flash Floods) মৃত অপর এক ভারতীয় জওয়ানের কফিনবন্দি দেহ দিন দু'য়েক আগেই ফিরিয়ে আনা হয় কালচিনির (Kalchini) বাড়িতে। গান স্যালুটে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয় ওই জওয়ান বিমল ওঁরাও-কে (৪০)। গোটা ঘটনায় বাকরুদ্ধ পরিবার। এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। নিজের বীর সন্তানের ছবি বুকে জড়িয়ে ধরে বৃদ্ধ বাবাও জানান বিদায়।
আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার কালচিনি ব্লকের মধু চা বাগানের মুন্সি লাইনের আদিবাসী দিনমজুর পরিবারের ছেলে বিমল। সেনাবাহিনীর বিন্নাগুড়ি ছাউনিতে গাড়ি চালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন । ২০০৫ সাল থেকে ভারতীয় সেনায় যুক্ত ছিলেন বলে পরিবার সূত্রে খবর। স্ত্রী এবং একমাত্র সন্তান ছাড়াও, পরিবারে বৃদ্ধ বাবা-মা, এক ভাই এবং এক বোন রয়েছে।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, সিকিমের জুলু থেকে গাড়িতে ফিরছিলেন তাঁরা। পথে সিকিমের বারদং-এ বিশ্রাম করছিলেন। মঙ্গলবার সেই সময় গভীর রাতে জলোচ্ছ্বাসে সব ভাসিয়ে নিয়ে যায়। এরপর বুধবার শিলিগুড়ির গাজলডোবায় ভেসে ওঠে তাঁর দেহ।
ভয়াল তিস্তার বয়ে আনা পলির স্তূপের তলায় কোথাও কি চাপা পড়ে রয়েছে প্রাণের স্পন্দন? পায়ের নখ দিয়ে নরম মাটি আঁচড়ে তারই অনুসন্ধান চালাচ্ছে সেনাবাহিনীর স্নিফার ডগ। ফ্ল্যাশ-ফ্লাড বিপর্যয়ের পর এখনও কাদামাটির ফাঁসে হাঁসফাঁস করছে উত্তর সিকিমের বিস্তীর্ণ অংশ। প্রতিবেশী রাজ্য সিকিমের এই বিপর্যয় তিস্তার স্রোত বেয়ে নেমে এসে, তছনছ করে দিয়েছে উত্তরবঙ্গের কালিম্পঙকে। বুধবার মেঘভাঙা বৃষ্টি-বিপর্যয়ের পর কয়েক দিন কেটে গেলেও, কালিম্পঙের তিস্তা বাজারের পরিস্থিতি এখনও ভয়াবহ। স্রোতের ধাক্কায় তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে বহু ঘর-বাড়ি। কোথাও আবার ভাঙা ঘরের ভিতরে এখনও ঘুরপাক খাচ্ছে নদীর ঘোলা জল।