Dhupguri ByPoll Result: 'বলেছিলাম সবুজ আবির গাঢ় হবে, হয়েছেও', ধূপগুড়ি পুনরুদ্ধারের পর প্রতিক্রিয়া শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবের
TMC Wins Dhupguri ByPoll Result: মাথায় সবুজ আবির, সঙ্গে গান 'বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল'! ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের ফলাফল জানতেই এই রূপে দেখা গেল তৃণমূল নেতা তথা শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবকে।
উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় ও রুমা পাল, ধূপগুড়ি: মাথায় সবুজ আবির, সঙ্গে গান 'বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল'! ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের ফলাফল (Dhupguri ByPoll Result) জানতেই এই রূপে দেখা গেল তৃণমূল নেতা তথা শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবকে (TMC Leader Goutam Dev)। বিজেপির হাত থেকে উত্তরবঙ্গের এই বিধানসভা আসন ছিনিয়ে নিতে যাঁর উপর আগাগোড়া ভোট-অঙ্কের দায়িত্ব ছিল, সেই গৌতম দেবের মুখে এখন তৃপ্তির হাসি। দলীয় প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়ের জয়ের খবর পেতেই বললেন, ''বলেছিলাম সবুজ আবির গাঢ় হবে, হয়েছে।'
আর কী?
তৃণমূল নেতার কথায়, 'বানারহাটের প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে যত এগোব যত ধূপগুড়ির দিকে এগোব, তত আমাদের ফলাফল ভালো হবে। এটাই আমাদের গাণিতিক ধারণা ছিল। তা ছাড়া প্লাস-মাইনাস, পারমুটেশন, কম্বিনেশন করে, কোথাও এগিয়েছি, কোথাও পিছিয়েছি। সব মিলিয়ে এই জয়।' তিনি আরও মনে করেন, সারা উত্তরবঙ্গে যে আটটি লোকসভা রয়েছে, তার সবকটিতেই তৃণমূল ও I.N.D.I.A. জোটের ফলাফল ভালো হবে। দলের ফলাফলে উচ্ছ্বসিত হলেও I.N.D.I.A.-র শরিক দুই দল, কংগ্রেস ও সিপিএমের পারফরম্যান্স নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য। ট্য়ুইটারে তিনি লেখেন, 'উপরওয়ালা শয়তানের আগে শয়তানের দালালদের শাস্তি দেন।'
INDIA জোটের প্রকাশ্য বিরোধিতার শাস্তি পেলেন বাম-কংগ্রেসের রাজ্য নেতারা। পঞ্চায়েতের সাময়িক উত্থানে ইতি পড়ল উপনির্বাচনে।
— Debangshu Bhattacharya Dev (@ItsYourDev) September 8, 2023
উপরওয়ালা শয়তানের আগে শয়তানের দালালদের শাস্তি দেন।
জোট-প্রার্থীর পারফরম্যান্স...
তৃণমূলের নির্মলচন্দ্র রায় যেখানে ৯৬ হাজার ৯৬১টি ভোট পেয়েছেন, সেখানে কংগ্রেস সমর্থিত সিপিএম প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ১৩ হাজার ৬৬৬। বিজেপির তাপসী রায় পেয়েছেন, ৯২ হাজার ৬৪৮টি ভোট। তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীর সঙ্গে তাঁর ফারাক ৪ হাজার ৩১৩ ভোটের। কিন্তু এই হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতার মধ্যে কংগ্রেস সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী দাঁড়াতেই পারলেন না। অথচ হালের পঞ্চায়েত ভোটে ছবিটা তাদের পারফরম্যান্স আশা জাগিয়েছিল। সেখানে এই যেন 'বিনা যুদ্ধে' হার স্বীকার। এমন কেন? প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর অবশ্য যুক্তি, 'ওখানে বিজেপি জিতেছিল। তাঁর বাড়িরই কেউ প্রার্থী হয়েছিলেন। ওখানে কখনওই আমরা শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ছিলাম না। কংগ্রেস-বামের জোট হলেও সেখানে উভয়েরই সাংগঠনিক দুর্বলতা প্রকট। আমরা কখনওই জেতার কথা বলিনি। ওই সিট নিয়ে আশাবাদীও ছিলাম না।' কিন্তু এর ফলে লোকসভা ভোটের লড়াইটা আরও কঠিন হয়ে যাবে না তো? জাতীয় স্তরে I.N.D.I.A.-র শরিক দল হিসেবে তৃণমূলের সঙ্গে একাসনে বসার দাপট দেখাতে পারবে তো তারা? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ফের।