Mamata Banerjee vs Suvendu Adhikari: ভবানীপুরে মমতার বুথে ১২৭ জনের নাম বাদ, নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর বুথে নাম বাদ গেল ১১ জনের
Bengal Draft Voter List: মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের খসড়া ভোটার তালিকা।

কলকাতা: SIR পর্বের পর মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের খসড়া ভোটার তালিকা। খসড়া তালিকা থেকে ৫৮ লক্ষের বেশি নাম বাদ গিয়েছে এখনও পর্যন্ত। এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী কেন্দ্র, ভবানীপুরের মিত্র ইনস্টিটিউশনের ২০৭ নম্বর বুথে ১২৭ জনের নাম বাদ পড়েছে। অন্য দিকে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারের কেন্দ্র, নন্দীগ্রামের ৭৯ নম্বর বুথে, নন্দনায়কবাড় প্রাথমিক স্কুলে ১১ জনের নাম বাদ গিয়েছে। (Bengal Draft Voter List)
রাজ্য রাজনীতিতে ভবানীপুর এবং নন্দীগ্রাম, দু'টিই গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা কেন্দ্র। তাই সেখানকার ভোটার তালিকায় কী রদবদল ঘটতে চলেছে, সেদিকে নজর ছিল সকলেরই। সেই আবহেই এদিন খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর দেখা যায়, ভবানীপুরে মমতার পোলিং স্টেশন, মিত্র ইনস্টিটিউশনে ১২৭ জনের নাম বাদ গিয়েছে। সেখানকার যে কয়টি পার্ট রয়েছে, তার প্রিন্ট আউট নিয়ে পৌঁছে গিয়েছেন BLO-রা। ভোটাররাও পৌঁছে গিয়েছেন সেখানে। স্বহস্তে নাম মিলিয়ে দেখে নিচ্ছেন। (Mamata Banerjee vs Suvendu Adhikari)
মিত্র ইনস্টিটিউশনের এক BLO জানান, নাম থাকলে চিন্তার কোনও কারণ নেই। নাম না থাকলে ফর্ম ৬ নিয়ে আবারও আবেদন জানানো যেতে পারে। যদি কোনও সমস্যা থাকে, পরবর্তীতে খতিয়ে দেখা হবে। তবে সেই নিয়ে বিশদ তথ্য় এখন পাননি তাঁরা। খসড়া তালিকা নিয়ে আপাতত বুথে থাকবেন তাঁরা। আগামী একমাস সেখানেই থাকবেন সকলে। ভোটাররা গিয়ে মিলিয়ে দেখে নিতে পারবেন। তবে সেভাবে নাম বাদ যায়নি বলে জানান ওই BLO. যাঁদের নাম বাদ গিয়েছে, তাঁরা বুথে গিয়ে বা অনলাইনে ফের আবেদন জানাতে পারবেন।
অন্য দিকে, নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর বুথে বাদ গিয়েছে ১১ জনের নাম। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নাম বাদ যাওয়ার মূল কারণ হল, হয় সংশ্লিষ্ট ভোটার মারা গিয়েছেন, নয়ত বা খোঁজ মেলেনি তাঁর। হতে পারে অন্য জায়গায় সরে গিয়েছেন ওই ব্যক্তি, অথবা ডুপ্লিকেট ভোটারও থাকতে পারে। পাশাপাশি অন্য কার্যকারণও থাকতে পারে বলে জানিয়েছে কমিশন।
এই খসড়া তালিকা নিয়ে আগামী এক মাস বুথে বুথে মোতায়েন থাকবেন BLO-রা। কারও কোনও অনুযোগ,অভিযোগ থাকলে সেখানে গিয়ে সাহায্য় চাইতে পারেন। পাশাপাশি, আবেদন জানানো যেতে পারে অনলাইন মাধ্যমেও। কমিশন জানিয়েছে, প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষকে শুনানির জন্য ডাকা হতে পারে। ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে কোনও রকম সংযোগ পাওয়া যায়নি যাঁদের, কোনও ভাবেই ম্যাপিংয়ে যাঁদের নাম মেলেনি, তাঁদেরই শুনানিতে ডাকা হতে পারে।






















