South 24 parganas News: ই-টেন্ডার না পাওয়ায় পঞ্চায়েতে কর্মরত কর্মীকে বেধড়ক মার, 'রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদের' ডাক
ই-টেন্ডার আত্মীয়কে পাইয়ে না দেওয়ায় পঞ্চায়েতে কর্মরত অবস্থায় এক কর্মীকে ঘর বন্ধ করে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী ও তাঁর দাদার বিরুদ্ধে।
গৌতম মন্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ই-টেন্ডার আত্মীয়কে পাইয়ে না দেওয়ায় পঞ্চায়েতে কর্মরত অবস্থায় এক কর্মীকে ঘর বন্ধ করে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী ও তাঁর দাদার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি ব্লকের ঢোলাহাট গ্রাম পঞ্চায়েতে (South 24 Parganas)।
ই-টেন্ডার না পাওয়ায় পঞ্চায়েতে কর্মরত কর্মীকে বেধড়ক মার
মারধরের পাশাপাশি আক্রান্ত পঞ্চায়েত সচিব মহম্মদ সাজামলকে খুনের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর আক্রান্ত কর্মী পঞ্চায়েতে যেতে ভয় পাচ্ছেন। তাঁর দুটি কানে ভাল করে শুনতেও পাচ্ছেন না। কুলপির বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই আক্রান্ত কর্মী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ঢোলাহাট থানায় বিডিওর তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি
গত ২৪ তারিখ দুপুরে এই ঘটনার পর অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী হোসেন কয়াল ও তাঁর দাদা আবুল কালাম কয়াল গ্রেফতার না হওয়ায় পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত কর্মচারী সমিতি সমূহের যৌথ কমিটির ডাকে আজ কুলপি বিডিও অফিসে অবস্থান-বিক্ষোভ ও বিডিও সৌরভ গুপ্তকে ডেপুটেশন জমা দেন নেতৃত্ব। অভিযুক্তরা দ্রুত গ্রেফতার না হলে আগামী দিনে ব্লকের সব পঞ্চায়েতের কর্মচারীরা কর্মবিরতি করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারী নেতৃত্ব।
দরজা বন্ধ করে মাটিতে ফেলে মারধর
আক্রান্ত মহম্মদ সাজামল বলেন,‘ ই-টেন্ডারে প্রধান রুবিয়া বেগম কয়ালের আত্মীয়কে পাইয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। আমি রাজি না হওয়ায় দরজা বন্ধ করে মাটিতে ফেলে কিল-চড়-ঘুষি মারে প্রধানের স্বামী ও ভাসুর। আমাকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ভয়ে ঢোলাহাট থানায় এফআইআর করতে যেতে পারিনি। আমি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। আমি ওই পঞ্চায়েত কাজ করতে রাজি না।’
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদের ডাক
পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত কর্মচারী সমিতি সমূহের যৌথ কমিটির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সন্দীপ রায় বলেন,‘ এই ঘটনা নিন্দনীয়। রাজ্য সরকারের নিয়ম মেনে কর্মচারী কাজ করতে চাইছেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ হবে।’ অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী হোসেন কয়াল ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন,‘ এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি। প্রধান আমার স্ত্রী। আমি কেন পঞ্চায়েত যাব। ওই পঞ্চায়েতে গত আট মাসে কোন টেন্ডার হয়নি।’ তবে কুলপির তৃণমূল বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার পঞ্চায়েতে গণ্ডগোলের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। যোগরঞ্জন হালদার বলেন,‘ ওই পঞ্চায়েত কর্মী দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। সেই ঘটনা নিয়ে একটা মারপিট হয়েছে বলে শুনেছি। দু’পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।’