TMC Leader Job Lost : স্কুলে নিয়োগে দুর্নীতি, চাকরি-হারা ১৯১১ জনের মধ্যে একের পর এক তৃণমূল নেতা !
OMR Sheet Scam : তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন মেধাতালিকার প্রথম দশে ! এদিকে ওএমআর শিটে দেখা যাচ্ছে, মাত্র একটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন ওই শাসকনেতা।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, পূর্ণেন্দু সিংহ ও সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, মাথাভাঙা ও বাঁকুড়া : গ্রুপ ডি-র চাকরি বাতিল (Group D Job Sacked) হওয়া ১৯১১ জনের তালিকায় কোচবিহার (Coochbehar) ও বাঁকুড়ার (Bankura) দুই তৃণমূল নেতা ও এক নেতার ভাইয়ের নাম ! তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন মেধাতালিকার প্রথম দশে ! এদিকে ওএমআর শিটে (OMR Sheet Scam) দেখা যাচ্ছে, মাত্র একটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন ওই শাসকনেতা। আর এসব নিয়েই তৃণমূলকে (TMC) নিশানা করছে বিরোধীরা। জবাব দিয়েছে শাসকদল।
চাকরি গেল তৃণমূল নেতাদের
কেউ যুব তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। কেউ তৃণমূলের বুথ সভাপতি। কেউ আবার তৃণমূলের নেতার ভাই। হাইকোর্টের নির্দেশে, SSC-র গ্রুপ ডি পদ থেকে যে ১ হাজার ৯১১ জনের চাকরি গেছে। তার মধ্য়ে রয়েছেন শাসকদলের এরকম একাধিক নেতা।
যেমন কোচবিহারের মাথাভাঙা ২ নম্বর ব্লকের যুব তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ধনীরাম বর্মন। যিনি এলাকায় প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত। চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর কাজ করতেন ফালাকাটার লছমন ডাবরি নজিমউদ্দিন হাইস্কুলে। হাইকোর্টের নির্দেশে প্রায় দুহাজার প্রার্থীর চাকরির সুপারিশপত্র বাতিল করেছে SSC। তালিকার ৩৫০ নম্বরে নাম রয়েছে এই যুব তৃণমূল নেতারও। দুর্নীতির অভিযোগে চাকরি হারিয়েছেন তিনি।
যে প্রসঙ্গে ধনীরাম বলেছেন, 'আমি দীর্ঘদিন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। চাকরি পাওয়ার পরে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর সক্রিয় রাজনীতিটা করি। আমি যখন চাকরিটা পেয়েছিলাম, তখন আমি রাজনীতি ছিলামই না। ২০১৯-এর পরে রাজনীতিতে এসেছি। যুবর সভাপতি হয়েছি ২০২২ সালে। কোথায় ২০১৮, আর কোথায় ২০২২'।
OMR শিটে মাত্র একটি প্রশ্নের উত্তর !
এমন উদাহরণ আরও আছে। যেমন আদেশ চট্টোপাধ্যায়। বাঁকুড়ার পাতালখুরি গ্রামের তৃণমূলের বুথ সভাপতি। বাঁকুড়ার বিকনা ক্ষিরোদপ্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের গ্রুপ ডি কর্মী ছিলেন। ২০১৬-র গ্রুপ ডি নিয়োগের মেধাতালিকায়, চার নম্বর র্যাঙ্ক ছিল আদেশের। কিন্তু তাঁর পরীক্ষার OMR শিটে দেখা যাচ্ছে, একটি মাত্র প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন তিনি !
তৃণমূল নেতার ভাই উত্তম চট্টোপাধ্যায়ও গ্রুপ ডি-র কর্মী ছিলেন। বাঁকুড়ার হিন্দু হাইস্কুলে কাজ করতেন তিনি। তৃণমূল নেতার ভাইয়ের বিরুদ্ধেও উঠেছে একই অভিযোগ।এদিন বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, দুই ভাইয়ের কেউই নেই।
অযোগ্য়দের চাকরি যাচ্ছে। কিন্তু, সেই জায়গায় যোগ্য়দের চাকরি হবে কতদিনে? অপেক্ষা তারই।