Partha Chatterjee SSC Scam: 'যে পার্থকে আমরা চিনতাম, এর সঙ্গে তাঁর মিল খুঁজে পাচ্ছি না' মন্তব্য ফিরহাদের
আজ পার্থকে নিয়ে হতাশার সুর শোনা গেল ফিরহাদ হাকিমের গলায়। পাশাপাশি সহকর্মী হিসেবে লজ্জাও প্রকাশ করলেন ফিরহাদ।

কলকাতা: 'পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) আমাদের কলিগ, আমরা লজ্জিত। যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) আমরা চিনতাম, এর সঙ্গে তাঁর মিল খুঁজে পাচ্ছি না'। বৃহস্পতিবার পার্থ ইস্যুতে এমনই মন্তব্য করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে কার্যত তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। দুর্নীতির পাহাড় প্রমাণ অভিযোগ সামনে আসতেই গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। গ্রেফতারের কয়েকদিনের মধ্যেই মন্ত্রিত্ব এবং দলীয় পদ দুই-ই হাতছাড়া হয়েছে তাঁর। কী প্রতিক্রিয়া তাঁর সহকর্মীদের। গতকাল পার্থকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি তুলে সরব হয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। আর আজ পার্থকে নিয়ে হতাশার সুর শোনা গেল ফিরহাদ হাকিমের গলায়। পাশাপাশি সহকর্মী হিসেবে লজ্জাও প্রকাশ করলেন ফিরহাদ।
এ দিন সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'এই ঘটনায় আমরা সবাই ব্যথিত। সবার মনের মধ্যেই চাপ পড়েছে। এটা আমরা কেউ আশা করিনি'। পার্থ চট্টোপাধ্যায় আমাদের কলিগ, আমরা লজ্জিত। আমি এখনও আশা করব সঠিক তদন্ত হবে এবং সত্য সামনে আসবে। যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আমরা চিনতাম, এর সঙ্গে তার মিল খুঁজে পাচ্ছি না।
উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের থেকে তৃণমূল যে ক্রমশ দূরত্ব তৈরি করছে, তা কি আগেই স্পষ্ট হচ্ছিল? গত শনিবার গ্রেফতার হওয়ার পরে তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে উঠতে পারেননি পার্থ। এরপর সোমবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দোষ প্রমাণ হলে, যদি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়, তাতে তিনি কিছু মনে করবেন না। যদিও এরপরও পদে বহাল ছিলেন পার্থ।
টাকার পাহাড় দেখতে দেখতে হতবাক বঙ্গবাসী! কত টাকা, কত সোনা। এ যেন চিচিং ফাঁক...আর গুপ্তধন উদ্ধার! কী করে এত টাকা মজুত করা হল? কারা করল? এসব ঘিরে জোরাল প্রশ্নের মধ্যেই অবশেষে ৬ দিন বাদে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিসভা থেকে সরালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, ২৪ ঘণ্টা আগেও মন্ত্রিসভায় থাকার বিষয়ে কার্যত অনড় ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর প্রশ্নের উত্তরে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলেন তিনি কিন্তু, এরপরই রাতে ফের উদ্ধার হয় কোটি কোটি টাকা!
সমালোচনার ঝড় তীব্র হয়...আর অবশেষে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিপদ ও দলের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলি থেকেও একপ্রকার সরাতে বাধ্য হল তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করল দল। ইডির অ্যারেস্ট মেমোতেও উল্লেখ করা হয়েছে, গত শনিবার গভীর রাতে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে ৪ বার তৃণমূল নেত্রীকে ফোনে ধরার চেষ্টা করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু কথা হয়নি!
এরপরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলছিলেন, আইনের চোখে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তাঁকে রেয়াত করা হবে না কিন্তু, শেষ অবধি প্রবল চাপের মুখে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দল ও মন্ত্রিসভা থেকে তাঁকে ছেঁটে দিল তৃণমূল কিন্তু, তাতে কি আদৌ তৃণমূলের অস্বস্তি কমবে? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।























