Kunal Ghosh: 'প্রধানমন্ত্রী আমায় চেনেন, বিজেপিতে যাওয়ার ইচ্ছা হলে...' : কুণাল
Kalyan Chaubey: ভোটের আগেরদিন অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে এনে কল্যাণ চৌবের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ কুণালের।
কলকাতা : 'উনি একটা সময় আমার বাড়িতে প্রায়শই আসতেন। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের পরে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্যই আমার কাছে এসেছিলেন। সেই সময়ও রাজ্য সভাপতি ও সংগঠনের সঙ্গে আমার মাধ্যমেই পরিচিত হয়েছিলেন। সেই সময় পার্টি তাঁকে নিতে চাই।' কুণাল ঘোষকে নিয়ে বিজেপির কল্যাণ চৌবের বিস্ফোরক এই দাবি ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। বুধবার মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। ঠিক তার আগের দিনই, কুণাল ও কল্যাণের একে অপরকে ঘিরে তোপ-পাল্টা তোপ। কুণাল বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন বলে কল্যাণ যে দাবি করেছেন এবার তার পাল্টা জবাব দিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তাঁর পরিষ্কার বক্তব্য, 'বিজেপি যাওয়ার ইচ্ছা হলে এই পচা কল্যাণকে লাগবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমায় চেনেন।'
বড় পদের টোপ দিয়ে ভোটে দলের সঙ্গে অন্তর্ঘাতের প্রস্তাব দেন মানিকতলার বিজেপি প্রার্থী। ভোটের আগেরদিন অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে এনে কল্যাণ চৌবের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ কুণালের। যদিও সেই দাবি খারিজ করে কল্যাণের বক্তব্য, প্রার্থী হিসেবে ভোট চাইতে ফোন করেছিলেন। কোনও প্রস্তাব বা ঘুষ দিতে চাননি। অডিও ক্লিপ এডিট করা হয়েছে। কুণালের প্রস্তাব খারিজ করে দাবি কল্যাণের।
কুণাল প্রসঙ্গে কল্যাণ দাবি করেন, 'কিছুদিন আগেও উনি বিজেপিতে আসতে চেয়েছেন। দায়িত্ব নিয়ে বলছি, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য এই মাসের শেষের দিকে উনি পশ্চিমবঙ্গের বাইরে মিটিং করবেন।' তাঁর সংযোজন, 'উনি বলেছেন বলে আমি ফোন করেছি। ওইদিন রাত সাড়ে ১০টায় ফোন করতে বলেছিলেন। কোথাও প্রচারে ছিলেন। তারপর ঘরে ফিরে ফোন নেবেন। তারপরে বলেন ১১টায় ফোন নেবেন। ওঁর কথায় ফোন করেছিলাম। ফোন রেকর্ড করার অভ্যাস আমার নেই। সেহেতু উনি আমার সঙ্গে ফোনে কী কী কথা বলেছেন সেটা রেকর্ড করা থাকলে আসল বিষয়টা রাখতে পারতাম। হয়তো এই ঘটনার জন্য এই মাসের শেষে উনি যাবেন না। কিন্তু, মাস দু'য়েক বাদে যদি উনি যান এবং বিজেপিতে আসার জন্য প্রস্তাব নিয়ে আসেন, আমি অন্তত অবাক হব না। কারণ, আমার কাছে উনি বিজেপিতে আসার প্রস্তাব দিয়েছেন। মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে বিজেপিতে আসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।'
যদিও এই অভিযোগ নস্যাৎ করে কুণাল বলেন, 'বিজেপি জড়িয়ে ভাবছে যদি বলা যায়। হাস্যকর কথাবর্তা। আমার বাড়িতে একটা সময় মুকুলদা আসতেন। বিজেপিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমি যাইনি। বিজেপি আমায় টেলিফোন অ্যাডভাইসরি কমিটির চেয়ারম্যান করেছে। আমি প্রত্যাখ্যান করেছি। লকেট চট্টোপাধ্যায় আমার বন্ধু। আমরা একসঙ্গে চা খেয়েছি। কই বলিনি তো আমি বিজেপিতে যাব। দিলীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসা করুন...কল্যাণ চৌবে। আর একটা কথা বলে রাখি, এই পচা কল্যাণকে ধরে আমায় যেতে হবে না, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমায় চেনেন। আমার কাকা গুজরাত ক্যাডারের আইএএস। নরেন্দ্র মোদি যখন মুখ্যমন্ত্রী, আমার কাকা তাঁর অতিরিক্ত মুখ্যসচিব ছিলেন। নরেন্দ্র মোদি আমায় জড়িয়ে ছবি তুলেছেন। সেটা আমার আইনজীবীর তোলা। আমার চেনাশোনার লেভেলটা একটু ভেবে রাখবেন। নরেন্দ্র মোদিকে আমি চিনি, দিলীপ ঘোষকে আমি চিনি। বিজেপি যাওয়ার ইচ্ছা হলে এই পচা কল্যাণকে লাগবে না।'