(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Panchayat Election 2023 : 'মুখ্যমন্ত্রীকে প্রার্থী তালিকা পাঠাচ্ছি, অনুমোদন না দিলে...', হুঁশিয়ারি তৃণমূলের বিধায়কের
Panchayat Election : কোথাও মারধর, কোথাও আবার বোমাবাজির অভিযোগ। দ্বিতীয় দিনেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
ইসলামপুর : পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) আগে ফের 'বেসুরো' ইসলামপুরের তৃণমূলের বিধায়ক (Islampur TMC MLA)। অভিমানের পর এবার হুঙ্কার ! অনুগামীদের প্রার্থী না করলে নির্দল দাঁড় করানোর হুঁশিয়ারি দিলেন আব্দুল করিম চৌধুরী (Abdul Karim Chowdhury)। মনোনয়ন-অশান্তির মধ্যেই 'নির্দল' হুঙ্কার ইসলামপুরের তৃণমূলের বিধায়কের। দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীকে প্রার্থী তালিকা পাঠাচ্ছি। অনুমোদন না দিলে আমার অনুগামীরা নির্দল হয়ে দাঁড়াবে।'
নিজেকে বিদ্রোহী বলে আগেই দাবি করেছিলেন। সম্প্রতি দলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী (Abdul Karim Chowdhury)। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek banerjee) নির্দেশ দেওয়ার পরও উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূল (TMC) সভাপতি কানাইয়ালাল তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেননি বলে দাবি করেছিলেন করিম।
এর আগে ইসলামপুরের কোর্ট ময়দানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাতে যাননি ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক। সভাস্থল থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে বাড়িতেই বসে থাকেন নিজেকে বিদ্রোহী বিধায়ক বলে পরিচয় দেওয়া আব্দুল করিম চৌধুরী। বাড়িতে আসেননি অভিষেক! সভাতেও ডেকে নিয়ে যাননি! এমনই দাবি করে, সেই সভা এড়ান বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক। ইটাহারে অভিষেকের বৈঠকে গরহাজির ছিলেন ইসলামপুরের বিদ্রোহী তৃণমূল বিধায়ক। সূত্রের খবর, উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলার ২৫ জন নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তার মধ্যে নাম ছিল আব্দুল করিমেরও। কিন্তু তিনি অভিষেকের বৈঠকে যোগ দেননি।
সম্প্রতি ফের সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, 'অভিষেক হোক বা মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ই হোক, মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ডাকলেও তো আমি যাব না।' বিদ্রোহ তিনি আগেই ঘোষণা করেছিলেন। তারপর দলের বিরুদ্ধে আরও সুর চড়িয়েছিলেন ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক করিম। এরপর তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালালের সঙ্গে তাঁর তিক্ততাও পৌঁছয় চরমে। সংঘাতের এই আবহেই গত মাসে আব্দুল করিমের বাড়িতে যান কানাইয়ালাল। ফুলের তোড়া দিয়ে কানইয়ালালকে স্বাগত জানান আব্দুল করিম চৌধুরীও। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে মনোনয়ন-পর্বের মধ্যে ফের হুঙ্কার ছাড়লেন করিম।
কোথাও মারধর, কোথাও আবার বোমাবাজির অভিযোগ। দ্বিতীয় দিনেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়েছে গেরুয়া শিবির। পাল্টা জবাব দিয়েছে শাসকদলও। এই আবহেই পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে একাধিক অভিযোগ ও একগুচ্ছ দাবিতে আজ রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। বঙ্গ বিজেপির দাবি, বিরোধীদের কোনও রকম আলোচনা ছাড়াই পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা করা হয়েছে। সেই কারণে মনোনয়ন পত্র না এসে পৌঁছনোয় তা জমা দিতে পারছেন না প্রার্থীরা। মনোনয়ন কেন্দ্রে গিয়েও হতাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে তাঁদের। এছাড়া, ডোমকলে কংগ্রেস কর্মী খুন হওয়ায় বিরোধী শিবিরে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। রাজ্যপালের কাছে বিজেপির দাবি, সিভিক ভলান্টিয়ার- সহ কোনও অস্থায়ী কর্মীকে ভোট প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করা যাবে না। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্য়বহার করা হোক।