Saugata Roy: 'পুলিশের দেখা উচিত', প্রতিবাদীদের মার খাওয়া নিয়ে সরব তৃণমূল সাংসদ; সৌগত বললেন, 'খুব অন্যায় হচ্ছে, দুর্ভাগ্যজনক'
Kolkata News: খাস কলকাতায় ফের প্রতিবাদীকে বেধড়ক মার ! সঙ্গে ধর্ষণের হুমকির অভিযোগ উঠেছে।

কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : শোভাযাত্রা থেকে, চকোলেট বোমা ছোড়ার প্রতিবাদ করায় দম্পতিকে বেধড়ক মারের অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গেছে গড়িয়ায়। প্রতিবাদীদের মার খাওয়া নিয়ে এবার পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। এ প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন, 'পুলিশের দেখা উচিত'। পাশাপাশি উৎসবের আবহে দেদার বাজি ফাটানো নিয়ে নিজের অসুবিধার কথাও জানান বর্ষীয়ান সাংসদ। তিনি বলেন, "রাতে তো বোমা ফাটছেই। দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড খুব ভাল। নির্দেশেনামা জারি করেছে। বাজিতে প্রথম সমস্যা, দূষণ বেড়ে যাচ্ছে। এয়ার কোয়ালিটি স্ট্যান্ডার্ড খারাপ হচ্ছে। আর তারপর শব্দের যে ব্যাপারটা। সেটা তো ঘটছে ব্যাপকভাবে। আমি এই শব্দবাজির বিরুদ্ধে।"
তৃণমূল সাংসদকে প্রশ্ন করা হয়, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা কী ? কালীপুজো বা দীপাবলিতে কোনও অসুবিধা হয়েছে ? উত্তরে সৌগত বলেন, "সব জায়গায় দেখছি, বাজি ফাটাচ্ছে। এই আর কী। রাতে বাড়ি ফিরে দেখলাম তখনও বাজি ফাটছে। সুতরাং অসুবিধা তো হচ্ছেই। বয়স্ক লোক আমরা। বেশি বাজি ফাটালে অসুবিধা তো হবেই। পুলিশের করার আছে। কিন্তু, সেই করার পরিকাঠামো তো নেই। প্রত্যেক পাড়ায়, প্রত্যেক গলিতে কি পুলিশ পোস্টিং করা সম্ভব ?" একইভাবে প্রতিবাদীদের মার খাওয়া নিয়ে বর্ষীয়ান সাংসদের সংযোজন, "সেটা খুব অন্যায় হচ্ছে। দুর্ভাগ্যজনক। হওয়া উচিত নয়। সে ব্যাপারে পুলিশের দেখা উচিত যারা মারধর করছে এইসব কারণে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।"
কী হয়েছে গড়িয়ায় ?
খাস কলকাতায় ফের প্রতিবাদীকে বেধড়ক মার ! সঙ্গে ধর্ষণের হুমকির অভিযোগ উঠেছে। গড়িয়ার লক্ষ্মীনারায়ণ কলোনিতে, শোভাযাত্রা থেকে, চকোলেট বোমা ছোড়ার প্রতিবাদ করায় দম্পতিকে বেধড়ক মারের অভিযোগ। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ঘটে এই ঘটনা। বাড়ির সামনের রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। ১৪ বছরের সন্তানের সামনেই গলা চেপে বেধড়ক মারধর, মহিলার স্বামীকেও এলোপাথাড়ি মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রাণ বাঁচাতে ফ্ল্যাটে ঢুকলে, সেখানেও ফের হামলা। অভিযোগ, কোলাপসিবল গেট ভেঙে সোজা ৩ তলার ঘরে চলে আসে হামলাকারীরা। টেনে সিঁড়িতে নামানোর চেষ্টা করা হয় মহিলাকে। শ্লীলতাহানিও করা হয়। সেইসময় চলে গেলেও, এরপর, নীচের রাস্তা থেকেও ফ্ল্যাট লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। বেশ কিছুক্ষণ এমন হামলার পর চলে যায় হামলাকারীরা। আক্রান্ত দম্পতির দাবি, এইসময়, নেতাজি নগর থানায় ফোন করেও না পাওয়ায় ১০০ নম্বরে ডায়াল করা হয়। অভিযোগ, এমনকী বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে গেলে, সেখানেও পুলিশের সামনে হুমকি দেয় হামলাকারীরা। মেডিক্যাল পরীক্ষা না করানোর চাপ দিতে থাকে অভিযুক্তরা। ওখানে দাঁড়িয়ে ফের ১০০ নম্বরে ডায়াল করায় বাহিনী সমেত হাজির হয় পুলিশ। তারাই এসকর্ট করে নিয়ে যায় এম আর বাঙুর হাসপাতালে।






















