Jadavpur University: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ইউনিট ঘোষণা TMCP-র, সভাপতি হলেন রাজন্যা হালদার
Rajanya Haldar, TMCP: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হল দক্ষিণ ২৪ পরগনায় TMCP-র সহ-সভাপতি রাজন্যা হালদারকে
কলকাতা: যাদবপুরকাণ্ডে (Jadavpur University) রাজ্য জুড়ে তোলপাড়ের আবহেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ইউনিট ঘোষণা করল তৃণমূল (TMC) ছাত্র পরিষদ। সূত্রের খবর, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নির্দেশেই শুক্রবার রাতে বৈঠকে বসে TMCP।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হল দক্ষিণ ২৪ পরগনায় TMCP-র সহ-সভাপতি রাজন্যা হালদারকে। বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের পর্যবেক্ষক সঞ্জীব প্রামাণিককে করা হল চেয়ারপার্সন।
তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে তাঁকে ভাষণ দেওয়ার জন্য বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই, এমনটাই সূত্রের খবর। রাজন্যা হালদারের বক্তব্যর ঝাঁঝ মন কেড়েছিল তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের। যাদবপুরের বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন রাজন্যা। নিশানায় বামেদের রেখে তিনি বলেছিলেন, “এই বাম অতিবামদের চিনে নিন। বর্জন করুন ওদের। ওরা খুনি। ওরা আমার এক ভাইকে খুন করেছে। সেটা ঢাকা দেওয়ার জন্য ওরা তৎপর। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ডেপুটেশন দিতে এলে আমাদের অত্যাচার করেছে। আমাদের খুন করার চেষ্টা করেছে। আমাদের মেরেছে। ওরা প্রোগ্রেসিভ বলে নিজেদের! এটা ওদের প্রগতিশীলতা?"
আরও পড়ুন, আতঙ্কে হস্টেল ছাড়ছেন বোর্ডাররা, কী পরিস্থিতি যাদবপুরে?
২০১৭ সালে সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে আসেন রাজন্যা। প্রেসিডেন্সি থেকে স্নাতক হওয়ার পর বর্তমানে পিএইচডি করছেন তিনি। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূল ছাত্র যুব সংগঠনের সহ-সভাপতিও। এছাড়াও রাজন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি জয়ী ব্যান্ডের অন্য একজন সদস্যা। একুশে জুলাইয়ের মতো মঞ্চে বক্তব্য রাখার সুযোগ পেতেই এতোটুকু সুযোগ হাতছাড়া করেননি তিনি।
যাদবপুরের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় রহস্যময় চিঠি ঘিরে চাঞ্চল্যকর তথ্যও উঠে এসেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মেন হস্টেলের ১০৪ নম্বর ঘরে ওই ছাত্রকে সামনে বসিয়েই লেখা হয়েছিল চিঠি। এমনকি, জোর করে তাকে দিয়ে সই করানো হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথম বর্ষের পড়ুয়াকে মানসিক নির্যাতন করার সময় শুধু প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরী বা দুই পড়ুয়া মনোতোষ ঘোষ এবং দীপশেখর দত্ত নয়, জড়িত ছিল আরও অনেকে। পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ ও বিভিন্ন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সেই অজ্ঞাতপরিচয়দের হদিশ পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।