Cyclone Remal Aftermath:রেমালের দাপট ফিকে হলেও জল সরেনি হাওড়া পুরসভার বহু এলাকায়, কবে কমবে ভোগান্তি?
Waterlogging In Howrah:ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে গেলেও হাওড়া শহরের বেশ কিছু নিচু এলাকা এখনও জলমগ্ন। ওই সব এলাকার বাসিন্দারা ঘরের মধ্যে জলবন্দি। কবে কাটবে দুর্ভোগ?
সুনীত হালদার, হাওড়া: 'রেমাল'-র (Cyclone Remal Aftermath) দাপট ফিকে হয়ে গিয়েছে আগেই। কিন্তু জল নামেনি এখনও। ফলে, সোমবারের পর মঙ্গলবারও হাওড়া পুরসভার (Howrah Municipality Waterlogged) কমপক্ষে ১৫টি ওয়ার্ডের বহু বাসিন্দা ঘরের মধ্যে বন্দি। কবে এই দুর্ভোগ কমবে? কবে নামবে জল? উত্তর অজানা।
কী জানা গেল?
রবিবার থেকে বর্ষণের জেরে হাওড়া পুরসভার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল। কোথাও গোড়ালি সমান জল, আবার কোথাও হাঁটু সমান জল রাস্তায় দাঁড়িয়ে যায়। বৃষ্টির দাপট বাড়লে জল রাস্তা ছাড়িয়ে গৃহস্থের ঘরের মধ্যে ঢুকে যায়। গতকাল, সোমবার, অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকার বাসিন্দারা জলবন্দি ছিলেন। আজও যে সেই ছবি বদলেছে, তা জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। মঙ্গলবারও দেখা যায়, ঘরের জল জমা জল সেভাবে নামেনি। ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন বাসিন্দারা। মধ্য হাওড়ার লেকভিউ, ড্রিমল্যান্ড এবং হাওড়া ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্টের আবাসনগুলিতে দেখা যায় নিচুতলার ফ্ল্যাট গুলিতে জল ঢুকে আছে। খাবার ঘর, শোবার ঘর এমনকী রান্নাঘরেও এক কোমর জল। বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাঁরা হাওড়া পুরসভাকে বারবার জানানো সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। একই অবস্থা ডুমুরজলা এলাকার এইচআইটি কোয়ার্টারগুলিতে। ড্রেনেজ ক্যানেল রোড এবং তার পাশের ফ্ল্যাট গুলিতে জল থৈ থৈ করছে। বাসিন্দারা জমা জলে কার্যত নাস্তানাবুদ হচ্ছেন। তাঁদের খেদ, জলবন্দি থাকলেও প্রশাসন স্রেফ কোনও খোঁজখবরই করছে না।
বিশদ...
সোমবার বিকেলের পর বৃষ্টি থেমে গিয়েছে। তার পরও সালকিয়া, ঘুসুড়ি, টিকিয়াপাড়া, বেলগাছিয়া এবং দাসনগরের বেশ কিছু এলাকা থেকে জল সরেনি। ফলে বাসিন্দাদের যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছে। যদিও হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমন্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানান, গতকাল বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর অনেক জায়গা থেকেই জল নেমে গিয়েছে। তবে যেসব জায়গায় জল এখনও জমে আছে, সেখানে পাম্প বসানো হবে। তাঁর আশা, এতে কাজ হবে। দ্রুত নামবে জল।
রেমালের দাপটে শহর কলকাতার বহু অংশও জলভাসি হয়েছিল। জলমগ্ন হয়ে পড়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও ট্রপিক্যাল মেডিসিন। পার্ক স্ট্রিট স্টেশনে জল জমে যাওয়ায় মেট্রো চলাচলে বিঘ্ন হয়, পরে অবশ্য পরিষেবা চালু হয়েছিল। সল্টলেকের একাধিক ব্লকেও এক ছবি দেখা যায়। পাশাপাশি, হলদিয়ার বিভিন্ন জায়গায় চাষের জমিতে ঢুকে যায় নোনা জল। ঝোড়ো হাওয়ায় ফুঁসে ওঠে হলদি নদী, উত্তাল হয় সমুদ্র ।
আরও পড়ুন:তৃণমূল ও সিপিএম একই কয়েনের এপিঠ-ওপিঠ, মোদির নিশানায় কংগ্রেসও