Mamata Banerjee: সংক্রমণ হয়ে গিয়েছে, সারতে সময় লাগবে, চিকিৎসকদের নির্দেশেই ঘরবন্দি, জানালেন মমতা
Durga Puja 2023: তাঁকে হাঁটাচলা করতে বারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। তাই ঘরবন্দি হয়েই আপাতত কাটছে মমতার।
কলকাতা: পায়ে চোট লাগায় ঘরবন্দি হয়ে রয়েছেন তিনি। এখনও হাঁটাচলা বারণ বলে জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মমতা জানিয়েছেন, তাঁর পায়ে সংক্রমণ হয়ে গিয়েছে। সারতে সময় লাগবে। তাই তাঁকে হাঁটাচলা করতে বারণ করেছেন চিকিৎসকেরা। তাই ঘরবন্দি হয়েই আপাতত কাটছে তাঁর। (Durga Puja 2023)
বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে শহরের বেশ কিছু পুজোর উদ্বোধন করেন মমতা। সেখানেই অসুস্থতার কথা জানান। মমতা বলেন, "আমি এমনিতে ঠিক আছি। পায়ে একটা চোট রয়েছে। কিছুদিন লাগবে সারতে। সংক্রমণ হয়ে গিয়েছে। এখন আবার হাঁটাহাঁটি শুরু করলে বাড়বে। ডাক্তাররা বারণ করেছেন। তাই সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও, মানসিক ভাবে আপনাদের সঙ্গেই রয়েছি।"
কালীঘাটের বাড়ি থেকেই এদিন ভার্চুয়াল মাধ্যমে একাধিক পুজোর উদ্বোধন করেন মমতা। কলকাতা এবং জেলা মিলিয়ে এদিন ৭৮৮টি পুজোর উদ্বোধন করেন তিনি। বলেন, "ধর্ম যার যার নিজের। কিন্তু উৎসব সকলের। আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই।" তবে পায়ে চোট লাগলেও, ২৭ অক্টোবর পুজো কার্নিভালে তিনি সশরীরে উপস্থিত থাকবেন বলে জানান। ভার্চুয়াল মাধ্যমে পুজো উদ্বোধনের পাশাপাশি, এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকও করেন মমতা। সিকিমের মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে উত্তরবঙ্গে যে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে, সেই নিয়ে আলোচনা হয় সেখানে।
আরও পড়ুন: Amit Shah: নজরে লোকসভা নির্বাচন, এবার পুজো উদ্বোধনে আসছেন শাহ, সোমবার পা রাখছেন তিলোত্তমায়
যদিও মহালয়ার আগে দুর্গাপুজো উদ্বোধন করা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। মহালয়ার ভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের গলায় মহিষাসুরমর্দিনীর স্তোত্রপাঠ না শুনেই কী করে পুজোর উদ্বোধন হয়, প্রশ্ন তুলেছেন অনেকই। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সেই নিয়ে বিঁধেওছেন মমতাকে। তাঁর বক্তব্য ছিল, "পিতৃপক্ষে কোনও শুভ কাজ হয় না। উনি এটাকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পরিণত করেছেন। পুজো করার দরকার নেই। আরতি, পুষ্পাঞ্জলি, পঞ্জিকা, শাস্ত্র এসব মানতে হবে না আর। হিন্দু সমাজের লজ্জা।"
কিন্তু মহালয়ার আগে দুর্গাপুজোর উদ্বোধন নিয়ে কী বলছেন পুরাণবিদরা? রামায়ণ অনুযায়ী, ত্রেতাযুগে রামচন্দ্র আশ্বিন মাসে দুর্গাপুজো করেছিলেন। দেবী দুর্গার কাছ থেকে শক্তি সঞ্চয় করে রাবণকে হত্যা করেন এবং সীতাকে উদ্ধার করেন লঙ্কা থেকে।
অর্থাৎ অত্যাচারীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোএবং প্রতিকার লাভের চেতনাই দুর্গোৎসবের মর্মবাণী। যদিও বর্তমান দিনে দুর্গাপুজো আড়ম্বরসর্বস্বই রয়ে গিয়েছে বলে মত অনেকের।