Dengue Update : রাজ্যের ১২টি পুর এলাকায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, নবান্নে রিপোর্ট স্বাস্থ্য দফতরের
Health department on Dengue : স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, শহরাঞ্চল ছাড়াও গ্রামীণ বাংলার ১৬টি ব্লকের ডেঙ্গি পরিস্থিতিও যথেষ্ট চিন্তার
কলকাতা : করোনার প্রকোপ কমলেও, ধীরে ধীরে বাংলার আকাশে জমছে ডেঙ্গি (Dengue) আতঙ্কের মেঘ ! কলকাতা, হাওড়া-সহ রাজ্যের ১২টি পুরসভা ও কর্পোরেশনের ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। চলতি বছরে এ পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১০৪ জন। নবান্নে এমনই রিপোর্ট পাঠাল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর (Health Department)।
১২টি পুরসভা ও কর্পোরেশনের তালিকায় রয়েছে- কলকাতা, হাওড়া, বালি, পানিহাটি, আসানসোল, কামারহাটি, বিধাননগর, টিটাগড়, ইংরেজবাজার, রিষড়া, রাজপুর-সোনারপুর ও শিলিগুড়ি।
স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, শহরাঞ্চল ছাড়াও গ্রামীণ বাংলার ১৬টি ব্লকের ডেঙ্গি পরিস্থিতিও যথেষ্ট চিন্তার। এছাড়াও, ৫ জেলা এবং একটি স্বাস্থ্য জেলার বেশ কিছু এলাকায় ডেঙ্গির জীবাণুবাহী মশার উপদ্রব নিয়ে এনটেমোলজিক্যাল অ্যালার্ট রিপোর্টও জমা পড়েছে নবান্নে।
আরও পড়ুন ; ডেঙ্গি দমনে প্রয়োজনে বন্ধ বাড়ির তালা ভেঙে মশা নির্মূল করা হবে, বিশেষ উদ্যোগ পুরসভার
এদিকে ডেঙ্গি মোকাবিলায় তৎপর হচ্ছে কলকাতা পুরসভা (KMC)। আজ থেকে শুরু হচ্ছে সচেতনতামূলক প্রচার।
কলকাতায় ডেঙ্গি প্রকোপ
চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি! মাত্র ২দিন আগে, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে কালীঘাটের মহিম হালদার স্ট্রিটের এক বালকের মৃত্যু হয়েছে। পুরসভার পরিসংখ্যান বলছে, এ বছর ১ জানুয়ারি থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৮৫। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে, এবার ডেঙ্গি মোকাবিলায় তৎপর হচ্ছে কলকাতা পুরসভা।
পুরসভা সূত্রে খবর, উত্তর কলকাতায় পরিস্থিতি উদ্বেগজনক না হলেও, চিন্তা বাড়াচ্ছে দক্ষিণ। ইতিমধ্যেই ১০ নম্বর বরোর সব কাউন্সিলরকে তৎপর হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জলাশয়গুলিতে গাপ্পি মাছ ছাড়তে বলা হয়েছে। এবছর, বর্ষাজুড়ে বৃষ্টির ঘাটতিতে ভুগছে দক্ষিণবঙ্গ। এই রোদ, তো এই বৃষ্টি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন আবহাওয়া লার্ভার বংশবিস্তারের পক্ষে আদর্শ।
এই পরিস্থিতিতে, রবিবার থেকেই প্রচার অভিযানে কলকাতা পুরসভা। বলা হয়েছে, প্রয়োজনে, পুরসভা অ্যাক্টের ৫৪৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী তালাবন্ধ বাড়িতেও হানা দেবে তারা। তালা ভেঙে লার্ভা নির্মূল করবে পুরসভা। এরপর বাড়ির নিরাপত্তার ভার দেওয়া হবে স্থানীয় থানার উপর।