WB Assembly: হুমকি বিতর্কের পর তৃণমূল বিধায়কদের আরও কাছে, বিধানসভায় আসন বদল কৃষ্ণ কল্যাণীদের
WB Assembly Seat Arrangement: বিধানসভার ভিতরেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁদের হুমকি দিয়েছেন বলে গতকাল তাঁরা অভিযোগ করেন। তাঁদের হত্যা ও আয়কর হানার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
কলকাতা: বিধানসভার (West Bengal Assembly) ভিতরে বসার জায়গা বদল করা হল ৪ বিধায়কের। ৫-এর বদলে ৬৯ নম্বর আসনে বসবেন বিশ্বজিৎ দাস। ৬ নম্বরের জায়গায় ৭০ নম্বর আসনে বসবেন কৃষ্ণ কল্যাণী। ৪৭-এর বদলে ৭১ নম্বর আসনে বসবেন সৌমেন রায়। ৬৩ নম্বরের পরিবর্তে ৭২ নম্বর আসনে বসবেন তন্ময় ঘোষ। তৃণমূল বিধায়কদের (TMC MLAs) আরও কাছে বসার জায়গা পেলেন ৪ বিধায়ক।
বিধানসভার ভিতরেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) তাঁদের হুমকি দিয়েছেন বলে গতকাল তাঁরা অভিযোগ করেন। তাঁদের হত্যা ও আয়কর হানার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৪ জনকেই নিরাপত্তা দিয়েছে রাজ্য।
বিজেপির হয়ে জিতে দলবদল করে তৃণমূলে যোগ দেন ৪ বিধায়ক। কৃষ্ণ কল্যাণী, সৌমেন রায়, বিশ্বজিৎ দাস ও তন্ময় ঘোষ যোগ দেন তৃণমূলে।
রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায় এবং বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। যাঁরা প্রত্যেকে বিজেপির প্রতীকে গত বিধানসভা ভোটে জিতলেও, পরে তৃণমূলের পতাকা হাতে নেন।
গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর জবাবি ভাষণ দেওয়ার সময়, শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন। সেই সময় শুভেন্দু অধিকারীকে ও কৃষ্ণ কল্যাণীর মধ্যে কার্যত বচসা বেধে যায়। এরপরই রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অভিযোগ করেন, বিধানসভায় দাঁড়িয়ে, শুভেন্দু অধিকারী, বৃহস্পতিবার তাঁর বাড়িতে আয়কর হানার হুমকি দিয়েছেন।
বিধানসভায় কৃষ্ণ কল্যাণীর এই অভিযোগ শুনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এটা খুবই গুরুতর অভিযোগ। বিধানসভায় যে কোনও বিধায়ক, তাঁর বক্তব্য জানাতে পারেন। সেজন্য তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বোঝাই যাচ্ছে ইডি, সিবিআই, আয়কর দফতর কারা চালায়।
এরপর স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হলে, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস দেওয়া হবে।
অন্যদিকে, শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বললেই প্রিভিলেজ নোটিস আনা যায় না। তার আগে প্রমাণ করতে হবে, যে আমি এগুলো বলেছি।
গতকাল বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে, নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশে কার্যত হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী। শুভেন্দুর প্রাক্তন দেহরক্ষীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে, তিনি বলেন, কাঁথিতে পুলিশ মার্ডার কেস আমরা ভুলে যাইনি। যিনি মারা গেছেন, তিনি কার সঙ্গে কাজ করতেন, সবাই জানে। তাঁর স্ত্রী মামলা করেছেন। কাঁথি থানার কেসের ফাইল আমাদের কাছে আছে। পরে দেখা যাবে।
পাল্টা শুভেন্দু চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্ট থেকে প্রোটেকশন পেয়েছি। সাহস থাকলে ছুঁয়ে দেখান। সব মিলিয়ে, হুমকির অভিযোগে তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভার অধিবেশন।
এদিকে, এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিস গ্রহণ করলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।স্বাধিকারভঙ্গের নোটিস পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বিধানসভার প্রিভিলেজ কমিটির কাছে।চলতি অধিবেশনেই প্রিভিলেজ কমিটিকে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ।