Chandan Mondal: 'বাবা যদি চাকরি দিতেন, তাহলে আমিই আগে পেতাম', বিস্ফোরক চন্দনের মেয়ে
SSC Recruitment Scam: গ্রামের মধ্যে বাকি বাড়িঘরের তুলনায় রঞ্জনের বাড়ি কিছুটা বেমানান! কারণ তাকে ছোটখাট প্রাসাদ বললে খুব একটা ভুল হয় না।
সমীরণ পাল এবং ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, উত্তর ২৪ পরগনা: সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন চন্দন মণ্ডল (Chandan Mondal)। দীর্ঘদিন তিনি ছিলেন রহস্য়ে মোড়া এক চরিত্র। প্রকাশ্যে তাঁকে দেখাও যায়নি। তাঁর খোঁজে বাগদার (Bagda) মামা-ভাগিনা গ্রামে পৌঁছেছিল এবিপি আনন্দ। নিয়োগ-দুর্নীতির (Recruitemnt Sacm) মামলায় সামনে আসার পর থেকেই এই নামটা ছিল চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। শুক্রবার তাঁকে গ্রেফতার করল সিবিআই। এই চন্দনকে নিয়ে মাসের পর মাস টানা খবর করেছে এবিপি আনন্দ। চন্দন মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রির। এই অভিযোগ নিয়ে খোঁজ খবর করতে গিয়েই চন্দন মণ্ডলের প্রাক্তন গাড়িচালকের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। যিনি এবিপি আনন্দের কাছে বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন।
প্রাক্তন গাড়ি চালক সন্তু বিশ্বাস বলেন, 'বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায় ৫ বছর আগে, চন্দন মন্ডলকে সঙ্গে নিয়ে গাড়িতে আসছিলাম। তখন বিধাননগরের পুলিশ আমাদের ধরে জেরা করে। তখনই জানতে পারি, টাকা নিয়ে চাকরি দিতেন। চন্দনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। হাইকোর্টে গিয়ে জামিন পায়।' প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস, রঞ্জনের নাম প্রকাশ করার পরও, দীর্ঘদিন তিনি ছিলেন রহস্যে মোড়া এক চরিত্র! প্রকাশ্যে কোথাও তাঁর দেখা মেলেনি। এই সময়ে চন্দন মণ্ডল ওরফে রঞ্জনের ঠিকানা খুঁজে বার করেছিল এবিপি আনন্দ।
এদিকে, গ্রামের মধ্যে বাকি বাড়িঘরের তুলনায় রঞ্জনের বাড়ি কিছুটা বেমানান! কারণ তাকে ছোটখাট প্রাসাদ বললে খুব একটা ভুল হয় না। যদিও সেই বাড়িতে গিয়ে সেদিন চন্দন মণ্ডলের খোঁজ মেলেনি। এবিপি আনন্দ দেখা পেয়েছিল তাঁর মেয়ের। তিনিও এ প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন, 'বাবা যদি চাকরি দিয়ে থাকত, আমিই পেতাম, আমি কি পেয়েছি?'
আরও পড়ুন, ফেব্রুয়ারিতেই ৩০ ডিগ্রি ছাড়াবে তাপমাত্রা? শিবরাত্রির দিনে ফের ঊর্ধ্বমুখী পারদ
কিন্তু, এত বড় বাড়ি যাঁর, সেই চন্দন মণ্ডল কী করতেন। তিনি ছিলেন বাগদারই মামা ভাগ্নে কবি জীবনানন্দ দাশ স্মৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পার্শ্ব শিক্ষক। চন্দন মণ্ডলের গ্রামে গিয়ে এমন একজন ব্যক্তির হদিশ পাওয়া যায়, যিনি চাকরির জন্য চন্দনকে টাকা দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন। এবার চন্দন মণ্ডলকে জেরা করে কি আরও অযোগ্য় প্রার্থীদের হদিশ পাবে সিবিআই? সেটাই দেখার!