Kaustav Bagchi : 'মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন, কোর্টে ও রাজপথে দেখা হবে', গ্রেফতার হয়ে হুঙ্কার কৌস্তভের
Congress Leader Arrested : সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলনেত্রীকে পাল্টা আক্রমণের পরেই, আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতার করে বড়তলা থানার পুলিশ।
কলকাতা : 'মাতৃসমা মুখ্যমন্ত্রী পৃত্রসম কৌস্তচ বাগচীকে ভয় পেয়েছেন, এটাই আমার রাজনৈতিক জয়। সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে গ্রেফতার। মনে করেছে তাই তুলে নিয়ে যাওয়ার মতো। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এবার কোর্টে ও রাজপথে দেখা হবে'। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে বড়তলা থানায় যাওয়ার পথে এমনই হুঙ্কার ছুড়লেন কৌস্তভ বাগচী (Kaustav Bagchi Arrested)। আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতাকে পরে থানা থেকে বের করে আরজিকর মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেও কার্যত একইভাবে সুর চড়িয়েছেন তিনি। শনিবার দুপুরেই তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করার কথা।
প্রসঙ্গত, সাগরদিঘিতে কংগ্রেসের জয়ের পর অধীর চৌধুরীকে আক্রমণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Chief Minister) । তার জেরে প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক ও অবসরপ্রাপ্ত IAS অফিসার দীপক ঘোষের লেখা বই নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলনেত্রীকে পাল্টা আক্রমণের পরেই, আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতার করে বড়তলা থানার পুলিশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছেন, এভাবে ভয় দেখিয়ে কণ্ঠরোধ করা যাবে না, গ্রেফতারির পর প্রতিক্রিয়া কৌস্তভ বাগচীর।
একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। কৌস্তভের দাবি, রাত আড়াইটে নাগাদ পুলিশ তাঁর ব্যারাকপুরের বাড়িতে যায়। সকালে পুলিশের আরও একটি দল পৌঁছয় কৌস্তভের বাড়িতে। গ্রেফতারের আগে ধারা দেওয়া নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তুমুল কথা কাটাকাটি হয় আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর। কৌস্তভকে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় স্লোগান দিতে শুরু করেন কংগ্রেস কর্মীরা। এদিকে, যখন কৌস্তভ বাগচী বড়তলায় থানাতে রাখা হয়েছিল তখন সেখানে পৌঁছে থানার বাইরে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা।
পুলিশ সূত্রে খবর হুমকি এবং অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে। পুলিশ সূত্রে খবর, কৌস্তভের মন্তব্যের ভিত্তিতে বড়তলা থানায় লিখিত অভিযোগের কারণেই এই গ্রেফতার। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩, ৫০৪, ৫০৫, ৫০৬, ৫০৯, ৩৫৪A এবং ১২০B ধারায় আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে, কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবীর গ্রেফতারি নিয়ে শুরু হয়েছে প্রবল রাজনৈতিক তরজা। পাশাপাশি মানবাধিকার কর্মীদের একাংশের বক্তব্য, শ্রেফ ভয় দেখানোর জন্য এই গ্রেফতারি। এবার দেখার গোটা ঘটনা কোন দিকে এগোয়।
আরও পড়ুন- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীর চৌধুরীর পারবিবারিক কোন বিষয়ে মন্তব্যে গলা চড়ান কৌস্তভ