Covid 19 : এবার রাজ্যে করোনা আক্রান্তের মৃত্যুও, শয়ে শয়ে কোভিড রোগী বাংলাজুড়ে
উদ্বেগের বিষয় হল, গত ২৪ ঘণ্টায় সবথেকে বেশি করোনা আক্রান্তের নিরিখে দিল্লির পরই নাম রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের।

কলকাতা : ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সালের ভয়াবহ ক্ষত এখনও টাটকা। কেউ হারিয়েছেন প্রিয়জন, কেউ পেশা। স্বাভাবিক জীবনযাত্রা থেকে অর্থনীতি, সবের উপরই বড় কোপ বসিয়েছিল করোনার প্রথম , দ্বিতায়, তৃতীয় ঢেউ। লকডাউনের ভয়াবহ স্মৃতি এখন দাগ-রেখে-যাওয়া ঘায়ের মতো! ৩ বছর পর দেশ জুড়ে ফের একবার চোখ রাঙাচ্ছে করোনা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে,দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজার পার করেছে। এক দিনে পাঁচ জনের মৃত্যুও হয়েছে দেশে। এবার দেশে করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হল ৩৭। সোমবার পর্যন্ত সারা দেশে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৯৬১। সবথেকে উদ্বেগের বিষয় হল, গত ২৪ ঘণ্টায় সবথেকে বেশি করোনা আক্রান্তের নিরিখে দিল্লির পরই নাম রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের।
আতঙ্ক বাড়িয়েছে আরও বিষয়। এই বছর পশ্চিমবঙ্গে প্রথম করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হল গতকাল। এক সপ্তাহ ধরে আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৪৩ বছর বয়সি মহিলা। ৫ দিন ধরে ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি। ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণে হিসেবে করোনা সংক্রমণের সঙ্গে কোমর্বিডিটিরও উল্লেখ করা হয়েছে। ডেথ সার্টিফিকেটে বলা হয়েছে হৃদযন্ত্র ও কিডনিতে সমস্যা ছিল মৃত মহিলার, সেপটিক শকে চলে গেছিলেন তিনি।
অন্যদিকে ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৫ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৭। গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ জন। বর্তমানে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭২ জন। দেশে মোট করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ২৬ জন।
অনেকেই করোনার বুস্টার ডোজ নিয়েছিলেন। কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠছে যে বুস্টার ডোজের পর, এবার কি তৃতীয়বারের জন্য আরেকটি ডোজ নেওয়া প্রয়োজন? এবিপি নিউজ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি, চিকিৎসকরা বলছেন, যদি আপনি ইতিমধ্যেই বুস্টার ডোজ নিয়ে থাকেন, তাহলে এখনই আরেকটি ডোজ নেওয়ার কোনও নির্দেশ সরকারের তরফে নেই। তবে, কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এটির প্রচার করছে। অন্যান্য দেশে, বিশেষ করে বয়স্ক এবং শিশুদের জন্য চতুর্থ ডোজ দেওয়া হচ্ছে। তবে বর্তমানে ভারতে এমন কোনও নির্দেশ আসেনি। কাদের সতর্ক থাকা উচিত? চিকিৎসকরা বলছেন, সতর্ক থাকতে হবে, ৬০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, অথবা কিডনি রোগ আছে এমন মানুষদের। এছাড়া সতর্ক থাকা আবশ্যক ক্যান্সার আক্রান্তদের।






















