West Bengal Live Blog: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানা, প্রত্যাঘাতের প্রস্তুতির মধ্যেই ভারতে পাক বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ
Bengal News Update: জেলা থেকে শহর, রাজ্য থেকে দেশ, সব খবর সবার আগে জেনে নিন

Background
কলকাতা: অক্ষয় তৃতীয়ার আগের রাতে মৃত্যুপুরী হয়ে উঠল বড়বাজার। মেছুয়া ফলপট্টিতে হোটেলে বিধ্বংসী আগুনে মৃত্যু হল ১৪ জনের। তাঁদের মধ্যে প্রাণ বাঁচাতে কার্নিস থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। মৃতদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৮ জনকে শনাক্ত করে গিয়েছে।
দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন... প্রাণ বাঁচাতে কেউ নেমে এসেছেন কার্নিসে। কেউবা আগুন থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিয়েছেন হোটেলের ছাদে। কেউ জীবন বাঁচাতে পেরেছে, কেউ পারেননি। বড়বাজারের মেছুয়া ফলপট্টির হোটেলে বিধ্বংসী আগুন প্রাণ কেড়েছে ১৪ জনের। মৃতদের তালিকায় রয়েছে তামিলনাড়ুর এক পরিবারের দাদু ও নাতি-নাতনি। NRS মেডিক্য়াল কলেজ সূত্রে খবর, মৃত অবস্থায় আনা হয় ৩ বছর ৮ মাসের পি রথীন ও ১০ বছরের পি দিয়া-কে। রথীন ও দিয়া ভাইবোন। কলকাতা মেডিক্যালে মৃত অবস্থায় আনা হয় তাদের দাদু ৬১ বছরের এস মুথুকৃষ্ণণকে।
পরিবার সূত্রে খবর, দাদুর কাছে ছেলে-মেয়েকে রেখে মা-বাবা শপিংয়ে যান। হোটেলের ৩১৩ নম্বর ঘরে ছিলেন দাদু, নাতি-নাতনি। সব হারিয়ে এদিন সকালে হাসপাতালে সন্তানদের দেহ নিতে আসেন মা। হাসপাতালে আসেন পুরমন্ত্রীও। কথা বলেন, মৃত দুই শিশুর মায়ের সঙ্গে। এছাড়া, NRS মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয় প্রয়াগরাজের বাসিন্দা ২২ বছরের আকৃতি নন্দওয়াল এবং মনোজ পাত্র নামের এক ব্যক্তিকে।
আরজি কর মেডিক্য়াল কলেজে অগ্নিকাণ্ডের পর মৃত অবস্থায় আনা হয় ৫ জনকে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, ওড়িশার কটকের বাসিন্দা বস্ত্র ব্যবসায়ী রাজেশ সন্তুকা (৪১)। এবং বিহারের ভাগলপুরের নীরজ কুমার (২০) ও আর তিনজনকে। ওড়িশার মৃত বাসিন্দাদের পরিজনরা জানিয়েছেন, কাপড় কিনে মঙ্গলবার রাতেই ওড়িশা ফেরার ট্রেন ছিল। কিন্তু তার আগেই সব শেষ। কলকাতা মেডিক্যালে মৃত অবস্থায় আনা হয় ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা মনোজ পাসোয়ান (৪২)। ৪৬ বছরের দুষ্মন্তকুমার সোয়াইন। এবং আরও কয়েকজনকে।
ঠিক কী করে লাগল আগুন? কী করে তা এত ভয়াবহ হয়ে উঠল? এতগুলো মানুষের মৃত্যুর দার কার? উঠছে প্রশ্ন। কেউ অন্ধকারে সিঁড়ি দিয়ে নীচে নামার চেষ্টা করেছিলেন, কেউ বা ছিলেন হোটেলের রুমে। সেই অবস্থাতেই ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে একের পর এক মৃত্য়ু। এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, হোটেলের পিছনের দিকের সিঁড়ি কেন বন্ধ রাখা হয়েছিল? সেই পথ খোলা থাকলে হয়তো অনেকেই প্রাণে বেঁচে যেতে পারতেন...
মৃত্য়ুপুরী... বড়বাজারের এই হোটেল যেন সাক্ষাৎ জতুগৃহ... হোটেলের পিছনে এই দিকে নেমে গেছে সিঁড়ি... যে পথ খোলা থাকলে, মঙ্গলবার হয়তো অনেকেই প্রাণ বাঁচাতে পারতেন... যে হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে, হোটেলের পিছন দিকে একটা সিঁড়ি রয়েছে। প্রত্য়ক্ষদর্শীরা বলছেন, এই সিঁড়ি থাকলেও, কেউ নামতে পারেননি।
এবিপি আনন্দ - এটা পিছন দিকের সিঁড়ি, তাই তো? বাসিন্দা, বড়বাজার -এই সিঁড়িটা আছে বারের জন্য়। বার নতুন হচ্ছে তো। সেই জন্য় এই সিঁড়িটা বন্ধ করে দিয়েছে। এটা কালকে ওপেনিং ছিল। কালকে খুলতে পারে। এবিপি আনন্দ - এই সিঁড়িটা ওপর অবধি যাচ্ছে। বাসিন্দা, বড়বাজার - হ্য়াঁ হ্য়াঁ। পুরো ওপরে সিঁড়ি আছে। মেন সিঁড়ি আছে ওটা। পুরো বন্ধ করে দিয়েছে। আগুন... সামনেটা আগুন জ্বলে গেছে তো, হোটেলওয়ালা কী করেছে, স্টাফটা বন্ধ করে দিল। কেন বন্ধ করে দিল? লোক ভিতরে ঢুকবে না। ঢুকলে তো লুঠ করবে, সেইজন্য় বন্ধ করে দিল।
এবিপি আনন্দ - ঢুকতে দেয়নি? বাসিন্দা, বড়বাজার - না। এবিপি আনন্দ - ধোঁয়াও বেরোতে পারছিল না। বাসিন্দা, বড়বাজার - না। এবিপি আনন্দ - কী দিয়ে বন্ধ করেছিল? শাটার নামিয়ে দিয়েছিল? বাসিন্দা, বড়বাজার - শাটার আছে তো। মেন গেটের কভারটা পুরো বন্ধ করে দিল। দমকলকর্মীরা যখন আসেন, পিছন দিকের সিঁড়িটা নজরে আসে, দেখেন, শাটার বন্ধ। তারা শাটার খোলেন। দেখেন একটা এক্জিট রুট ছিল। যেহেতু নির্মাণের কাজ চলছিল, তাই এটা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঘটনায় হোটেল কর্তৃপক্ষের ঘাড়েই দায় চাপিয়েছেন দমকলমন্ত্রী।
প্রত্য়ক্ষদর্শীদের দাবি, মঙ্গলবার সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ হোটেলের দোতলা থেকে গলগল করে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন তাঁরা। যেখানে কাজ হচ্ছিল, ওই ফ্লোর থেকেই আরম্ভ (আগুন) হল। দোতলায় রান্নাঘর আছে, সেখানে লেগে গেল। অনেক লোক তো জানেও না, আর ওদিকে তালাও বন্ধ ছিল। কেউ যেতেও পারবে না। দ্রুত আগুন উপরের তলাগুলিতে ছড়িয়ে পড়তে থাকে.... কিছুক্ষণের মধ্যেই ৬ তলা হোটেল পরিণত হয় গ্যাস চেম্বারে।
Kolkata News: বড়বাজারে অগ্নিকাণ্ডের জের, পার্ক স্ট্রিটে ম্যাগমা হাউসের ৬টি রেস্তোরাঁ বন্ধ
বড়বাজারে অগ্নিকাণ্ডের জের, পার্ক স্ট্রিটে ম্যাগমা হাউসের ৬টি রেস্তোরাঁ বন্ধ। মুখ্যমন্ত্রীর সারপ্রাইজ ভিজিটের পর ৬টি রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দিল প্রশাসন। অগ্নি সুরক্ষা বিধি না মানার অভিযোগে বন্ধ করে দেওয়া হল ৬টি রেস্তোরাঁ। অগ্নি সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভপ্রকাশের পর বন্ধ ৬টি রেস্তোরাঁ।
Dilip Ghosh on BJP: মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে যাওয়ার পরদিনই বিস্ফোরক দিলীপ
মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে যাওয়ার পরদিনই বিস্ফোরক দিলীপ। 'আড়াইশো লোকের প্রাণের বিনিময়ে পার্টিকে দাঁড় করিয়েছিলাম, আজকে কোথায় বিজেপি। যে দিন থেকে দালালরা বিজেপিতে এসেছে, বিজেপির স্বাদ ও গন্ধ চলে গেছে', লোক বিজেপিকে ভরসা করতে পারছে না, বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ






















