West Burdwan: ২ সন্তানকে নিয়ে পানাগড়ে রেল লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী এক মহিলা
West Burdwan News: পারিবারিক অশান্তিতে ভুগছিলেন সেই মহিলা। তাঁর স্বামী না কি প্রায় প্রত্যেকদিনই এসে মদ্যপ অবস্থায় ঘরে ঢুকে অশান্তি করতেন। যার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: সন্তানকে নিয়ে আত্মঘাতী এক মা। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানের (West Burdwan) পানাগড় (Panagar) এলাকায়। রেল লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন সেই মহিলা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে যে, সেই মহিলা তাঁর ২ সন্তানকে নিয়ে রেল লাইনে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। পানাগরের অনুরাগপুর এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।
কিন্তু কেন এমনটা করলেন সেই মহিলা?
সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই পারিবারিক অশান্তিতে ভুগছিলেন সেই মহিলা। তাঁর স্বামী না কি প্রায় প্রত্যেকদিনই এসে মদ্যপ অবস্থায় ঘরে ঢুকে অশান্তি করতেন। যার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
খড়গপুরে স্ত্রী-কে খুন করে আত্মঘাতী স্বামী
স্ত্রী-কে খুন করে নিজেও আত্মঘাতী স্বামী। কিছুদিন আগেই এমন ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ও শোকের ছায়া খড়্গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত কুচলাতাড়ি এলাকায়। কিন্তু কী কারণে এমন ভয়াবহ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্বামী, কোনও মানসিকচাপে পড়ে, নাকি পরিকল্পিতভাবে, এই ঘটনা ঘটেছে, প্রশ্নের পর প্রশ্ন উঠে এসেছে নায়েক পরিবারকে ঘিরে।
সকালে ঘুম ভেঙে যায় দুই নাবালিকা কন্যার ও তাঁর ছেলের
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন ভোর চারটা নাগাদ কুচলাতাড়ি গ্রামের বছর ৩৪-র যুগল নায়েক, নিজের বাড়িতেই প্রথমে ঘুমন্ত স্ত্রী বকুল নায়েকের গলা কেটে দেন হাঁসুয়া দিয়ে। এরপর, সেই ঘরেই একটি জানালায় নিজের গলায় গামছা দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সকালে ঘুম ভেঙে যায় দুই নাবালিকা কন্যার ও তার ছেলের। তারা দাদুকে ডেকে ঘটনার ব্যাপারে বলে। দাদু প্রতিবেশীদের জানালে, প্রতিবেশীরা পৌঁছে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে খড়্গপুর মহাকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
বিয়ের আগে থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন তাঁর ছেলে ?
যুগলের বাবা মদন নায়েক জানান, নেশাগ্রস্ত ছেলে, এই ঘটনা ঘটিয়েছে। কিছুটা ভারসাম্যহীন ছিল ছেলে, তারই জেরে এরকম ঘটনা ঘটিয়ে দিয়েছে। কিন্তু যুগলের বাবার এই কথাই আরও প্রশ্ন তৈরি করেছে। তার ছেলে যে মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে, সেটা কি বিয়ের পরে ? ছিল কি কারও দিকে থেকে চাপ ? নাকি বিয়ের আগে থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন তাঁর ছেলে ? যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে এই বিয়ে যুগল নায়েককে সব কি জেনে শুনেই করেছিলেন বকুল ? নাকি গোপন রাখা হয়েছিল এই সত্য।