(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Santosh Pathak : বাম হোক বা তৃণমূল জমানা, অক্ষত রেখেছেন গড়, ভোট ময়দানে ফের জমিয়ে প্রচার শুরু সন্তোষ পাঠকের
KMC Election : আত্মবিশ্বাসী সন্তোষ বলছেন, আসলে ময়দান এলাকায় থাকি। ফুটবল ক্রিকেট খেলি। জেতা নিয়ে অনিশ্চয়তা নেই। বিরোধীদের জামানত জব্দ হবে।
ঋত্বিক মণ্ডল, কলকাতা : ২০১০ ও ১৫-র পুরভোটে (Kolkata Municipal Election) কলকাতায় তৃণমূল (TMC) দাপট দেখালেও, তাঁর ওয়ার্ডে থমকে গেছে ঘাসফুলের দৌড়। বাম (Left) জমানাতেও, তাঁকে টলানো যায়নি। সবমিলিয়ে বাম কিংবা তৃণমূলের জমানা। ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁকে টলানো যায়নি। ২০০৫ থেকে ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে অপরাজিত কংগ্রেসের (Congress) সন্তোষ পাঠক (Santosh Pathak)। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে লড়তে নেমে জামানত খুইয়েছেন তৃণমূল থেকে বাম প্রার্থীরা। সন্তোষ পাঠকের সৌজন্যে ১৫ বছর ধরে কংগ্রেসের গড়ে পরিনত হয়েছে এই ওয়ার্ড। ওয়ার্ড দখল রাখার ব্যাপারে এতটাই নিশ্চিত থাকেন যে, প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার আগেই প্রচারে নেমে পড়েন। আর সরকারিভাবে প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা হওয়ার পর আপাতত গড়রক্ষার লড়াইয়ে ওয়ার্ড চষে বেড়াচ্ছেন সন্তোষ পাঠক।
এমনিতেই কলকাতা পুরসভার ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড বৈচিত্র্যে ভরা। অফিসপাড়ার বড় অংশ জুড়ে এই ওয়ার্ড। বিভিন্ন ভাষাভাষির মানুষের বাস এখানে। সকাল থেকে এলাকায় এলাক প্রচার শুরু করছেন তিনি। চায়ের দোকানে বসে চলছে দেদার আড্ডার মাঝেই ভোট প্রার্থনা। প্রচারের ব্যস্ততার ফাঁকে কচি কাঁচাদের সঙ্গে ব্যাট হাতে নেমে ক্রিকেটও খেলছেন কংগ্রেস প্রার্থী। সন্তোষ পাঠক বলছিলেন, 'এটা অফিসিয়াল এলাকা। রাজভবন এলাকার কোয়ার্টার আছে। কোনওদিন রাজনীতি করব ভেবে আসিনি। সবার কাছে আমি ভাই-দাদা বা ছেল, কাউন্সিলর নন।' প্রসঙ্গত, ২০০৫ থেকে টানা তিনবার ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠক।
নিজের ওয়ার্ডে তাঁর প্রভাব এতটাই যে গত পুরভোটে, ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে জামানত জব্দ হয় বিজেপি ও তৃণমূল প্রার্থীর। এমনকী বিধানসভা ভোটের নিরিখে শুধু সন্তোষ পাঠকের ওয়ার্ডে এগিয়ে আছে কংগ্রেস। সন্তোষের নিজের কথায়, এ অনেকটাই তাঁর ব্যক্তি ক্যারিশ্মা। সমাজকর্মী সন্তোষকে ভোট দেওয়ার ডাকের পাশাপাশি হাসিমুখে আত্মবিশ্বাসী সন্তোষ বলেছেন, 'আমরা কাছে বিজেপি, তৃণমূলের থেকে অফার ছিল, যাইনি। এখানকার মানুষ সন্তোষমুখী, কংগ্রেসের ভোট আছে। আসলে ময়দান এলাকায় থাকি। ফুটবল ক্রিকেট খেলি। জেতা নিয়ে অনিশ্চয়তা নেই। বিরোধীদের জামানত জব্দ হবে।'
কখনও শতাব্দীপ্রাচীন বাড়িতে ঢুকে পড়ছেন। কখনও নিজস্ব স্টাইলে পৌঁছে যাচ্ছেন বহুতলে। আসলে ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড যে তাঁর বড় চেনা।
আরও পড়ুন- শুকনো মুড়ি-লাল চায়ে দিন শুরু, প্রচার ব্যস্ততার মাঝে কী কী থাকছে ফিরহাদ হাকিমের মেনুতে ?