এক্সপ্লোর
Advertisement
মোদী-মমতাকে একাসনে বসিয়ে আক্রমণ রাহুলের, পাল্টা খোঁচা তৃণমূলের
কলকাতা: রাজ্যে জোটের হয়ে প্রথম প্রচারে এসে নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক সারিতে বসিয়ে আক্রমণ শানালেন রাহুল গাঁধী। প্রসঙ্গ ধরে ধরে নিজের বক্তব্যকে সঠিক প্রমাণের চেষ্টা করলেন কংগ্রেস সহ সভাপতি।
কংগ্রেস সহ সভাপতি বলেন, মোদী চান দেশে একজনই নেতা থাক। তৃণমূল সাংসদরাই আমাকে বলেন, দলে কারও কথা চলে না। মোদী যেখানেই বিরোধিতা দেখছেন, কলেজ হোক বা যেখানেই হোক পিষে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। রাহুলের দাবি, মোদী দেশে যা করছেন, রাজ্যে মমতা তাই করছেন। তৃণমূলেও একজনেরই কথা চলে।
এদিন মমতা-মোদীকে আরও আক্রমণ করে রাহুল বলেন, মাল্য পালানোর আগে জেটলির সঙ্গে দেখা করেন। ললিত মোদী কোথা থেকে পালালেন তা নিয়ে মোদী-নীরব। একইভাবে মমতা মুখে বলেন দুর্নীতি সহ্য করব না। সারদা হল, স্টিং হল, এখানেও মমতা নীরব।
শুধু দু’জনের তুলনা টানা নয়। এদিন কুলটির সভা থেকে ফের একবার মোদী-মমতা আঁতাঁতের অভিযোগও উস্কে দেন কংগ্রেস সহ সভাপতি। কুলটির সভায় বলেন, উত্তরাখণ্ডে যখন স্টিং হল তখন মোদী নড়েচড়ে বসলেন। অথচ এখানে স্টিং হল, কিছু হল না। মোদীর সঙ্গে মমতার বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গেও সোচ্চার ছিলেন রাহুল। বাঁকুড়ার সভা থেকে কংগ্রেস সহ সভাপতি বলেন, মমতা মনমোহনের সঙ্গে বাংলাদেশে যাননি। মোদীর সঙ্গে গিয়েছেন।
রাহুলের আক্রমণের পর তৃণমূলও পাল্টা তাঁকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, যে দলে মা-ছেলে দল পরিচালনা করেন, তারা আবার বড় মুখে এখানে একনায়কতন্ত্রের কথা বলেন।
পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, রাহুলের এই আক্রমণের নেপথ্যে সুনির্দিষ্ট কৌশল রয়েছে। বাম-কংগ্রেস জোটের স্লোগানই হল মোদি হঠাও দেশ বাঁচাও, মমতা হঠাও বাংলা বাঁচাও। এদিন নরেন্দ্র মোদি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক সারিতে ফেলে আক্রমণ শানিয়ে রাহুল গাঁধী একদিকে যেমন সেই স্লোগানকে আরও জোরাল করলেন, তেমনই এরাজ্যের প্রায় ২৭ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটকেও জোটের পালে টানার চেষ্টা করলেন।
নির্বাচন ২০২8 (Elections) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
ক্রিকেট
Advertisement