WB Election, 5th Phase Voting: শীতলকুচির পর দেগঙ্গা, কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ, অস্বীকার সিআরপিএফের
গোটা ঘটনার রিপোর্ট চায় নির্বাচন কমিশন। তারপর তাদের পক্ষে জানিয়ে দেওয়া হয় কোনও গুলি চলেনি।
দেগঙ্গা : ফের একবার গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। শীতলকুচির পর এবার দেগঙ্গা। দেগঙ্গার কুড়লগাছার ঘটনা। স্থানীয়দের অভিযোগ গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সিআরপিএফের তরফে অবশ্য দাবি, এলাকায় কোনও গুলি চালানো হয়নি। গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় নির্বাচন কমিশন। পরে তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কোনও গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেনি। বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন গ্রামবাসীরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গাছের ছায়ায় বসে এলাকায় আড্ডা দিচ্ছিলেন কয়েকজন গ্রামবাসী। সেই সময়ই সেখানে গুলি চলে। মাটিতে একটি গর্ত মতো জায়গা দেখিয়ে তাদের অভিযোগ, শূন্যে নয়, মাটিতে গুলি ছুড়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। চতুর্থ দফার ভোট চলাকালীন কোচবিহারের শীতকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল। যেখানে প্রাণ হারিয়েছিলেন চারজন। আহত হয়েছিলেন আরও চারজন। যে ঘটনা নিয়ে এখনও উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। এর মাঝেই ফের পঞ্চম দফার ভোটেও গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। যদিও তারা ও পরে কমিশন যে অভিযোগ খারিজ করে দেয়।
শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে চাপানউতোরের মাঝেই সামনে উঠে আসে এক ভাইরাল ভিডিও। যে ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে একদল মানুষ বাঁশ-লাঠি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই আকাশভেদী বুলেট চলার শব্দ। মুহূর্তের নিঃশব্দতার পর তীব্র আর্ত চিৎকার। মানুষের হাহাকার। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের দরজা লাথি মেরে ভেঙে ফেলার চেষ্টা চলছে। দরজায় সজোরে আঘাত করা হচ্ছে বাঁশ দিয়েও। এই ভিডিও-র অবশ্য সত্যতা যাচাই করা হয়নি এবিপি আনন্দর তরফে।
সেদিন শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে থার্ড পোলিং অফিসারের দায়িত্ব থাকা ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে এবিপি আনন্দ। তিনি বলেছেন, 'বুথের ভিতরে ছিলাম, বাইরে দৃশ্য ওতটা ভালো করে লক্ষ্য করতে পারিনি। লাইনে ভালোমতোই লোক ছিল। শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট হচ্ছিল। হঠাৎ বুথের দরজা খোলা থাকায় আমরা দেখতে পেলাম বাইরে একটা গন্ডগোল হচ্ছে। সেটা বাড়তে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। যার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই গুলির আওয়াজ শুনতে পাই। কিছুক্ষণ পর দরজা ভেঙে একদল ঢুকে ইভিএম ভাঙচুর করল, আমাদেরও মারধর করল। এত ভয়াবহভাবে মারধর শুরু হল মনে হচ্ছিল আর হয়তো বাড়ি ফিরে যেতে পারব না। এই অবস্থায় আরও কিছু লোক বুথে ঢোকে, তারা আমাদের রক্ষা করল। যার কিছুক্ষণ পর পুলিশ ও সেন্ট্রাল ফোর্স এসে বের করে নিয়ে যায়।'