West Bengal Election 2021: রাস্তায় বসব না-প্রতিবাদও করব না, নিষেধাজ্ঞা নিয়ে 'দিদিকে' খোঁচা দিলীপের
''নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করানোর জন্য যা ভালো মনে করেছে, তাই করেছে। সেই নির্দেশ শিরোধার্য। আমরা কোথাও যাইনি। আমরা রাস্তায় বসব না , প্রতিবাদও করব না।''
'দিদি'কে নিয়ে 'দাদা'র কটাক্ষ। কমিশনের নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও তৃণমূল নেত্রীকে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না দিলীপ ঘোষ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বললেন, 'রাস্তায় বসব না-প্রতিবাদও করব না, কমিশনের নির্দেশ শিরোধার্য।'
মুসলিমদের ভোট ভাগ নিয়ে মন্তব্য করায় কমিশনের 'কোপে' পড়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। ২৪ ঘণ্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কমিশন। যার প্রতিবাদে গাঁধী মূর্তির নীচে ধর্নায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই চলে ছবি আঁকার কাজ। তবে কমিশনের নিষেধাজ্ঞার দিনে 'দিদি'র পথে হাঁটলেন না 'বিজেপির দাদা'। উল্টে প্রতিবাদের রাস্তায় হাঁটার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই কটাক্ষ করলেন তিনি। এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, 'রাস্তায় বসব না-প্রতিবাদও করব না, কমিশনের নির্দেশ শিরোধার্য।'
এখানেই শেষ হয়নি দিলীপের বাক্যবাণ। তিনি বলেন, ''নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করানোর জন্য যা ভালো মনে করেছে, তাই করেছে। সেই নির্দেশ শিরোধার্য। আমরা কোথাও যাইনি। আমরা রাস্তায় বসব না , প্রতিবাদও করব না। শীতলকুচি নিয়ে করা মন্তব্যের এখন প্রমাণ আসছে। প্রকাশ্যে আসা ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, যা বলেছি ঠিক বলেছি।কমিশন মনে করেছে বিধিভঙ্গ হয়েছে, তাই শাস্তি দিয়েছে। শীতলকুচি, সিতাই যে কী জায়গা, ভারতে না পাকিস্তানে আছি বোঝা যায় না। গেলে প্রাণ নিয়ে ফিরে আসা যায় না।''
এই বলেই থেমে থাকেননি রাজ্য বিজেপির সভাপতি। তিনি আরও বলেন, ''আমি আগে ওখানে মার খেয়েছি। আমার কর্মীরা মার খেয়েছে ।আমাদের কদিন আগেই গাড়ি ভাঙা হয়েছে। সেখানে গেলেই লাঠি, ঝান্ডা উচিয়ে আক্রমণ হয়। সেই কথাই আমি বলেছিলাম। দেখা গেল, কদিন পরেই সেই ঘটনা ঘটল। হামলাকারীরা ইভিএম লুঠ করতে গেল। বন্দুক ছিনিয়ে নিতে যাওয়ার সময় এই অপ্রিয় ঘটনা ঘটেছে।''
সম্প্রতি বরানগরে বিজেপি প্রার্থী পার্নো মিত্রর হয়ে প্রচারে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সেখানেই শীতলকুচিকাণ্ড নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি।
রাজ্য বিজেপির কাণ্ডারী আরও বলেন, '' ভয় দেখিয়ে রাজনীতি করার দিন চলে গিয়েছে। ভয় উপেক্ষা করে এখন মানুষ ভোট দিচ্ছে। বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে।কেউ লাল চোখ দেখাতে পারবে না। আমরা আছি। ... ''
এই বক্তব্যের পরই দিলীপ ঘোষকে শোকজ করা হয়। পরে তার প্রচারে ২৪ ঘণ্টা নিষেধাজ্ঞা জারি করে নির্বাচন কমিশন। ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যে ৭টা থেকে ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যে ৭টা পর্যন্ত ছিল এই নিষেধাজ্ঞা।