অস্ত্রোপচারেও থামেনি কাজ, মাকে পাশে নিয়ে 'এফআইআর'-এর শ্যুটিং সেরেছিলেন ঋতাভরী
আগামীকাল সিনেমাহলে মুক্তি পাচ্ছে তাঁর নতুন ছবি। দুর্গাপুজোর আমেজ মাখতে শহরে বেরিয়ে পড়েছেন তিনি,জোরকদমে চলছে ছবির প্রচারও। তবে ক্লান্তি নয়, এবিপি লাইভের ফোন ধরেই ঋতাভরী চক্রবর্তী-র গলায় ঝরে পড়ল খুশি।
কলকাতা: আগামীকাল সিনেমাহলে মুক্তি পাচ্ছে তাঁর নতুন ছবি। দুর্গাপুজোর আমেজ মাখতে শহরে বেরিয়ে পড়েছেন তিনি, জোরকদমে চলছে ছবির প্রচারও। তবে ক্লান্তি নয়, এবিপি লাইভের ফোন ধরেই ঋতাভরী চক্রবর্তী-র গলায় ঝরে পড়ল খুশি আর উচ্ছাস।
ছবির নাম 'এফআইআর'। ছবিতে ঋতাভরীকে দেখা যাবে একজন চিকিৎসকের ভূমিকায়, নাম, ইশা চক্রবর্তী। রঘুনাথপুরের একের পর এক খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে ছবির ঈশা। কেমন ছিল থ্রিলার ছবিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা? ঋতাভরী বলছেন, 'আমি শারিরীক অসুস্থতার মধ্যেই এফআইআরের শ্যুটিং শেষ করেছি। দুটো অস্ত্রোপচারের মাঝখানে। তারপর যে করোনা পরিস্থিতি হল, ভাবিনি ছবিটা হলে মুক্তি পাবে। কিন্তু এফআইআর বড়পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে, তার ওপর দুর্গাপুজো হচ্ছে, ভীষণ ভালো লাগছে। প্রথম থেকেই পরিচালক জয়দীপ মুখোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, ঈশা খুব পরিণত একটা মেয়ে। সে একটা স্কুল সামলায়, চিকিৎসাও করে। তাঁর ওপর ভরসা করে গ্রামের বহু মানুষ। আমি নিজের জীবনে জন্ম থেকেই ওঠাপড়া দেখেছি। আমি পরিস্থিতি সামাল দিতে পারি। ঈশাও ঠিক সেরকম। চরিত্রটা জন্য আলাদা করে বেশি ভাবতে হয়নি তাই। আমার চিরকালই থ্রিলার, ফরেন্সিক এই বিষয়গুলো ভালো লাগে। এফআইআরের গল্পটা শুনেই তাই ভালো লেগেছিল।'
শারিরীক অসুস্থতার মধ্যেই চলত ছবির শ্যুটিং! কীভাবে সামলাতেন নায়িকা? ঋতাভরী বলছেন, 'আমার টিম যদি আমায় সবসময় সুবিধা না দিত, মাঝপথে এফআইআরের কাজ ছেড়ে দিতে হত আমায়। টানা শ্যুটিং করলেই অসুস্থ হয়ে পড়তাম। কিন্তু আমার টিম সবসময় আমার কথা ভেবে ছবির শিডিউল ঠিক করত। এমনকি বার বার আমার জন্য রিশিডিউলও করতে হয়েছে শ্যুটিং। তবে আমায় সবরকমভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করতেন সবাই। আমি এতটাই অসুস্থ ছিলাম, এই প্রথম গোটা শ্যুটিং-এ মা আমার সঙ্গে ছিল। ১২ বছরে আগে কখনও এরকম হয়নি। শ্যুটিংয়ের মধ্যেই মায়ের জন্মদিন পড়েছিল। আমারই এক বন্ধুর বাড়িতে কেক কেটে উদযাপন হল। ছবির সব্বাই সেদিন এসেছিল। আড্ডা.. খাওয়া.. গল্প...। সবার সঙ্গে সেদিনই প্রথম বন্ধুত্ব হল।'
অঙ্কুশ ও বনির বিপরীতে এই প্রথম অভিনয় করলেন ঋতাভরী। হাসতে হাসতে নায়িকা বললেন, অঙ্কুশ সেটে প্রচণ্ড মজা করে। ধরুন, আমি একটা খুব সিরিয়াস ডায়লগ বলছি অঙ্কুশকে। বাচ্চাদের পাচার নিয়ে। আমার ক্লোজ নেওয়া হচ্ছে। অঙ্কুশকে ক্যামেরায় দেখা যাচ্ছে না। সেই সুযোগে অঙ্কুশ উল্টোদিকে শাহরুখ খানের মত হাত তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে। বনির সঙ্গে আমার খুব একটা বেশি সিন ছিল না। তবে ও খুব ভালো অভিনেতা। ওকে সঠিকভাবে ব্যবহার করলে ইন্ডাস্ট্রি অনেক কিছু পাবে।'