Ananya Panday Grandmother Death: 'তোমাকে এতটাই ভালোবাসি যে ভুলে থাকা অসম্ভব', আবেগঘন পোস্ট অনন্যার
শনিবার প্রয়াত হন অনন্যা পাণ্ডের ঠাকুমা তথা তাঁর বাবা চাঙ্কি পাণ্ডের মা স্নেহলতা পাণ্ডে। আর তারপর কষ্টের মন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন অনন্যা পাণ্ডে।
মুম্বই : ঠাকুমা প্রয়াত হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি আবেগঘন পোস্ট করলেন বলিউড অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডে। শনিবার প্রয়াত হন অনন্যা পাণ্ডের ঠাকুমা অর্থাৎ তাঁর বাবা চাঙ্কি পাণ্ডের মা স্নেহলতা পাণ্ডে। ভারাক্রান্ত মন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পুরনো ছবি পোস্ট করেছেন অনন্যা পাণ্ডে। পুরনো দিনের সেই ছবি ঘিরেই আবেগ উস্কে দিয়েছেন অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনন্যার পোস্ট দেখে বোঝা যায়, তাঁর জীবনে তাঁর ঠাকুমার অবদান ঠিক কতখানি। অনন্যার পোস্ট করা সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে লালচে চুলের স্নেহলতা পাণ্ডেকে। সঙ্গে অনন্যা পাণ্ডেরা দুই বোন। দুজনেই তখন খুব ছোট।
ছবিটি পোস্ট করে অনন্যা পাণ্ডে লিখেছেন, 'শক্তিশালী হয়ে বিশ্রাম নাও। তুমিই আমার দেবদূত। যখন দাদি জন্মেছিলেন, চিকিতসকরা বলেছিলেন, ওনার আয়ু খুব কম। মাত্র কয়েকটা বছর। কারণ, দিদার হৃৎপিণ্ডে একটা ফুটো আছে। তারপরেও আমার দাদি দীর্ঘদিন বেঁচে ছিলেন। এই ছবিটাই তাঁর প্রমাণ। উনি শুধু ৮৫ বছর পর্যন্ত বেঁচেছেন তাই নয়, মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্তও নিজের হাতে কাজ করে গিয়েছেন। প্রত্যেকদিন তাঁকে সকাল ৭ টার মধ্যে ঘুম থেকে উঠে পড়তে দেখেছি। ওঁর ওই লালচে চুল নিয়ে।'
অনন্যা পাণ্ডে এও জানিয়েছেন যে, তাঁর জীবনে তাঁর ঠাকুমার প্রভাব ঠিক কতটা। বলিউডের নতুন গ্ল্যামার ক্যুইন অনন্যা লিখেছেন, 'জীবনের প্রত্যেকটা দিন তিনি আমায় আগলে রেখে প্রেরণা জুগিয়েছেন। আমি যা ভালোবাসি সবসময় দাদি সেটা করার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন আমায়। দাদির হাতগুলো সবচেয়ে নরম ছিল, আর সবচেয়ে ভালো পা টিপে দিতে পারতেন উনিই। দিদা রাজনীতি একেবারে বুঝতেন না। দাদি দাবি করতেন, উনি হাত দেখতে জানেন। সেই কথা আমায় বলতেন আর আমি সবসময় হেসে ফেলতাম।সেইসব মুহূর্ত কোনওদিনও ভোলার নয়। দাদি শুধু আমার একার নয়, আমাদের গোটা পরিবারের জীবন। ধন্যবাদ দাদি। তোমায় আমরা কেউ কখনও ভুলতে পারবো না। তোমাকে ভালোবাসি।'