Anant-Radhika Wedding: নিমন্ত্রণপত্রে বাজছে স্তোত্রপাঠ, সঙ্গে দামি উপহার.. অনন্ত-রাধিকার রাজকীয় ওয়েডিং কার্ডের ঝলক
Anant Ambani Radhika Marchant Wedding Card: আমন্ত্রণপত্র বলতে আমাদের চোখে যে ছবি ভেসে ওঠে, এটি একেবারেই তেমন নয়। আমন্ত্রণপত্র হিসেবে এখানে অতিথিদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে একটি বিশাল বাক্স। কী কী রয়েছে সেই বাক্সে?
কলকাতা: তাঁদের বিয়ে নিয়ে আগ্রহ নেই, এমন মানুষ ভারতে খুঁজে পাওয়া ভার। হবে নাই বা কেন... দেশের অন্যতম ধনী বিবাহ অনুষ্ঠানের ঝলক পেতে, তার খুঁটিনাটি জানতে উদগ্রীব অনেকেই। তাঁদের প্রাক বিবাহ অনুষ্ঠানের ছবি, ভিডিও কার্যত ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। দুই দফায় প্রাক বিবাহ অনুষ্ঠান চলার পরে, এবার পালা বিয়ের। ইতিমধ্যেই আমন্ত্রিতদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র। কিন্তু ঠিক কী রয়েছে তাতে? অম্বানিদের পরিবারের বিয়ে বলে কথা, নিমন্ত্রণপত্রে কোনও বিশেষত্ব থাকবে না তাও কি হয়! অনন্ত অম্বানি (Anant Ambani) আর রাধিকা মার্চেন্ট (Radhika Marchant)-এর বিয়ের নিমন্ত্রণপত্রে রইল কী কী বিশেষত্ব, একবার দেখে নেওয়া যাক।
আমন্ত্রণপত্র বলতে আমাদের চোখে যে ছবি ভেসে ওঠে, এটি একেবারেই তেমন নয়। আমন্ত্রণপত্র হিসেবে এখানে অতিথিদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে একটি বিশাল বাক্স। কী কী রয়েছে সেই বাক্সে? প্রথম ধাপ খুললেই বিশাল সেই বাক্স থেকে বেরিয়ে আসছে আরও একটি বড় কমলা বাক্স। সেখানে ওপরে ভগবান বিষ্ণুর ছবি দেওয়া যার হৃদয়ের মধ্যে লক্ষ্মী রয়েছেন। গোটা বাক্সের ওপরে লেখা স্তোস্ত্র। সেই বাক্স খুললেই শোনা যাচ্ছে স্তোস্ত্রপাঠ। বাক্স খুললেই মিউজিক বাজার মতো করেই টানা বেজে চলেছে স্তোস্ত্র।
বাক্সের ডালার ভিতরদিকে অপূর্ব কারুকার্যে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বৈকুন্ঠের ছবি। পুরাণমতে এই বৈকুন্ঠই লক্ষ্মী ও নারায়ণের বাসস্থান। এরপরে সেই বাক্সে রয়েছে একটা বড় সোনালি বাক্স। সেই সোনালি বাক্সটিই আসলে বিবাহের আমন্ত্রণপত্র। এই পত্রের এক এক পাতায় রয়েছেন রাধা-কৃষ্ণ, গণেশ থেকে শুরু করে একাধিক দেব-দেবীর ছবি ও সঙ্গে এক একটি বার্তা। এই পত্রের মধ্যেই অম্বানি পরিবারের তরফ থেকে একটি হাতে লেখা নোটও রয়েছে। ব্যক্তিগত এই ছোঁয়া আপ্লুত করবে যে কোনও অতিথিকেই। কার্যে যে ছবিগুলি রয়েছে তার প্রত্যেকটাই বাঁধানো ও সেগুলি কার্ড থেকে আলাদা করে খুলে নিয়ে ঠাকুরঘরে রাখা যাবে।
এরপর সেই বাক্সে রয়েছে আরও একটি ছোট কমলা বাক্স। সেটিকে খুললে তার ভিতর থেকে বেরিয়ে আসছে রুপোর সূক্ষ কাজ করা একটি ছোট্ট মন্দির। দূরে কোথাও গেলে অনায়াসে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া যায় এই মন্দির। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি। সেই বাক্সের তলায় রয়েছে একটি পাউচ। সেটি খুললে পাওয়া যাচ্ছে অপূর্ব পশমিনা শাল। কাশ্মীরিদের হাতে বোনা এই অপূর্ব শালটির দুই দিকে দুটো রং আর গোটা শাল জুড়েই রয়েছে অপূর্ব কাজ।
আরও পড়ুন: Dev-Rukmini: শেষবেলায় এল দেবের আদুরে শুভেচ্ছা, রুক্মিণী জন্মদিন কাটালেন শিশুদের সঙ্গেই
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।