Anurag Thakur on Adipurush: 'সাধারণ মানুষের ভাবাবেগকে আঘাত করার অধিকার কারও নেই', 'আদিপুরুষ' সম্পর্কে অনুরাগ ঠাকুর
Anurag Thakur on Adipurush Controversy: ওম রাউতের পরিচালিত এই পৌরাণিক ছবি ইতিমধ্যেই মুক্তি পেয়েছে প্রেক্ষাগৃহে। আর সেইখান থেকে সবচেয়ে বেশি যে ক্লিপিংসটি ছড়িয়ে পড়েছে সেটি হল বজরঙ্গবলীর বলা সংলাপগুলি
মুম্বই: বিতর্কের জেরে ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ছবির সংলাপ বদলানোর। আর এবার, ওম রাউত (Om Raut) পরিচালিত এই ছবি নিয়ে এবার মুখ খুললেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Information and Broadcasting Minister Anurag Thakur)। তাঁর কথায়, 'মানুষের ভাবাবেগকে আঘাত করার অধিকার কারও নেই।'
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে প্রভাস (Prabhas), কৃতি শ্যানন (Kriti Shanon) অভিনীত ছবি আদিপুরুষ (Adipurush)। আর এই ছবি মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই একের পর এক বিতর্ক দানা বেঁধেছে। আর সেই জেরেই, ছবির সংলাপ বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এএনআই সূত্রে খবর, আজ এই বিষয় নিয়ে অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন, 'সেন্সর বোর্ড এই ছবির সংলাপ বা দৃশ্য বদলানোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। ছবির পরিচালক ও চিত্রনাট্য লেখকও রাজি হয়েছেন এই বদলগুলি আনতে। মানুষের ভাবাবেগকে আঘাত করার অধিকার কারও নেই।' তিনি আরও জানান, তিনি নিজে নজর রাখবেন যাতে কারও আবেগে আঘাত না লাগে।
ওম রাউতের পরিচালিত এই পৌরাণিক ছবি ইতিমধ্যেই মুক্তি পেয়েছে প্রেক্ষাগৃহে। আর সেইখান থেকে সবচেয়ে বেশি যে ক্লিপিংসটি ছড়িয়ে পড়েছে সেটি হল বজরঙ্গবলীর বলা সংলাপগুলি। যেখানে কখনও বলা হয়েছে, 'যো হামারি বেহেনো কো হাথ লাগায়গা, উনকি লঙ্কা লাগা দেঙ্গে।' কখনও আবার বলা হয়েছে, 'আগ তেরে বাপ কা, কাপড়া তেরা বাপ কা, তেল তেরে বাপ কা, জ্বলেগি ভি তেরে বাপ কি..'। আর এই ধরনের সংলাপ শুনে রীতিমতো চটেছেন অনুরাগীরা। তাদের অভিযোগ, এই ধরণের সংলাপ ব্যবহার করে রামায়ণ বিশ্বাসী হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে।
যদিও এই ধরণের সংলাপ ভুল করে লেখা নয়, বরং একেবারেই ইচ্ছাকৃতভাবে লেখা বলে জানিয়েছেন ছবির সংলাপ লেখক মনোজ মুনতাশির শুক্লা। তাঁর মতে, ছবির সমস্ত চরিত্রই যদি এক ধরণের ভাষায় সংলাপ বলে, তবে তা একঘেয়ে লাগতে পারে। কথাবার্তার টানের পরিবর্তন আনতেই এই ধরনের সংলাপ বসানো হয়েছিল বজরঙ্গবলীর মুখে, কারোও ভাবাবেগে আঘাত করার উদ্দেশে নয়। নিজের মতের সমর্থনে চিত্রনাট্যকার এও বলেছেন, ছোটবেলায় যখন আমরা আমাদের ঠাকুমা, দিদিমাদের মুখে রামায়ণের গল্প শুনতাম, তার ভাষা, কথার টান সবের মধ্যেই বেশ কিছু নিজস্বতা থাকত। সেটা বিভিন্ন জায়গা অনুযায়ী পরিবর্তিতও হত। আর সেই সমস্ত ধারণা মাথায় রেখে, বজরঙ্গবলীর চরিত্রকে আলাদা সুরে বাঁধার জন্যই এভাবে সংলাপ পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
নিজের সংলাপের সমর্থনে যুক্তি দেয় মনোজ মুনতাশির আফসোস, 'কয়েক হাজার সংলাপ লিখেছি এই ছবির জন্য, তার মধ্যে অনেকগুলি ভালও ছিল। কিন্তু সেগুলো নিয়ে প্রশংসা হল না। বিতর্ক হল কেবলমাত্র বজরঙ্গবলীর সংলাপ নিয়ে।' যদিও পরিবর্তিত পরিস্থিতি ও বিতর্কের সম্মুখীন হয়ে সংলাপ বদলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: Castor Oil: চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ঠিক কতটা প্রয়োজন ক্যাস্টর অয়েল? কীভাবে চুলের খেয়াল রাখে এই তেল?