Zubeen Garg : বিষক্রিয়ায় কি মৃত্যু জুবিন গর্গের ? CFSL-র ভিসেরা রিপোর্ট হাতে পেল SIT; কী রয়েছে তাতে ?
Assam News: জুবিন গর্গের মৃত্যুতে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি সামনে এসেছে।

গুয়াহাটি : জুবিন গর্গের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ কী ? এবার নয়া দিল্লির সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি বা CFSL-র ভিসেরা রিপোর্ট হাতে পেল অসম পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল বা SIT। ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে ইয়ট পার্টি চলাকালীন সাঁতার কাটতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয় জুবিনের। তাঁর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিয়ে নানা অভিযোগ সামনে আসছে। এই পরিস্থিতিতে টক্সিকোলজি রিপোর্ট এখন তাঁর মৃত্যু বিষক্রিয়ার কারণে হয়েছে কি না তা স্পষ্ট করে তুলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ওই রিপোর্ট গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারদের প্যানেলে পাঠানো হয়েছে যারা গায়কের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করেছিলেন এবং চূড়ান্ত রিপোর্ট শীঘ্রই আদালতে জমা দেওয়া হবে এবং পরিবারের সঙ্গে শেয়া করা হবে। এমনই জানিয়েছেন SIT প্রধান ADGP মুন্না প্রসাদ গুপ্তা। তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বর্তমানে তারা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। সিঙ্গাপুরের বেশ কয়েকজনকে নোটিস জারি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন ইতিমধ্যেই SIT-এর সামনে হাজির হয়ে বিবৃতি রেকর্ড করেছেন, অন্যরা শীঘ্রই তদন্তে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
জুবিন গর্গের মৃত্যুতে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি সামনে এসেছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, জুবিনের ব্যান্ডের সদস্য শেখর জ্যোতি গোস্বামী নাকি পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, সিঙ্গাপুরে বিষপ্রয়োগ করা হয়েছিল গায়কের উপর, আর তার জেরেই নাকি মৃত্যু হয়েছে গায়কের। আরও এক চাঞ্চল্যকর দাবি সামনে এসেছে। জুবিন গর্গের আরেক ব্যান্ডমেট পার্থপ্রতিম গোস্বামী জুবিনের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা এবং সহকর্মী শেখর জ্যোতি গোস্বামীর দিকে অবহেলা এবং অসাবধানতার অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, জুবিন গর্গের খিঁচুনি সমস্যা আছে জানা সত্ত্বেও, তাঁরা সারা রাত মদ্যপান করেন। পার্টি করেন। তাঁরাই গায়ককে ঘুমাতে দেননি। তারপরে তাঁদের সাঁতার কাটতে গিয়ে বিপত্তি ঘটে। পার্থ প্রতিম গোস্বামীর মতে, সিদ্ধার্থ এবং শেখরই জুবিনকে বিশ্রাম নিতে দেননি। তাঁদের আনন্দ-ফূর্তির বলি হয়েছেন জুবিন। এই ভুলকে ক্ষমার অযোগ্য বলেন পার্থ।
এর আগে জুবিন গর্গের (Zubeen Garg) মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে গায়কের তুতো ভাই সন্দীপন গর্গকে। এই ব্যক্তি অসমের পুলিশ ডিএসপি (DSP)। তাঁকে গ্রেফতার করেছে অসমের বিশেষ তদন্তকারী দল। সন্দীপনকে গ্রেফতার করার পরে তাঁকে চাকরি থেকে নিলম্বিত করা হয়। যতদিন এই ব্যক্তির ওপর তদন্ত চলবে, ততদিন চাকরিতে যোগদান করতে পারবেন না সন্দীপন।






















