Dino Morea: নদী পরিষ্কারেও 'আর্থিক দুর্নীতি' ! সেই মামলায় দিনো মোরিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ মুম্বই পুলিশের
Bollywood Actor Dino Morea: মুম্বইয়ের মিঠি নদী পরিষ্কার করা নিয়ে ব্যাপক আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। সেই মামলাতেই বলিউড অভিনেতা দিনো মোরিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মুম্বই পুলিশ।

Dino Morea: দুর্নীতি মামলায় বলিউড অভিনেতা ডিনো মোরিয়াকে জিজ্ঞসাবাদ করেছে মুম্বই পুলিশ। আজই হাজিরা দিয়েছেন এই অভিনেতা-মডেল। জানা যাচ্ছে, মুম্বইয়ের মিঠি নদী পরিষ্কার করার বরাত সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ডিনো মোরিয়াকে। মুম্বই পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা সূত্রে খবর, এই মামলায় চলতি মাসের শুরুর দিকে কেতন কদম নামের এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই ব্যক্তির সঙ্গে অভিনেতা দিনো মোরিয়া এবং তাঁর ভাইয়ের যোগাযোগ রয়েছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে। আর সেই কারণেই ৪৯ বছরের অভিনেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মুম্বই পুলিশ। সূত্রের খবর, কেতন কদম এবং তাঁর আরেক সহযোগী জয় যোশীর ফোনের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখার পর তদন্তকারীদের হাতে আসে ডিনো মোরিয়ার নাম। কেতনের সঙ্গে একাধিক বার কথা হয়েছে অভিনেতা এবং তাঁর ভাইয়ের। কল রেকর্ডে তেমনটাই দেখা গিয়েছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে। অভিযুক্তর সঙ্গে দিনো মোরিয়ার যোগাযোগ কীভাবে হয়েছিল, তিনি কেতনের ব্যবসার ব্যাপারে কতটা কী জানেন, এইসব তহ্য জানতেই অভিনেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মুম্বই পুলিশ।
মুম্বইয়ের মিঠি নদী থেকে বর্জ্য অপসারণকে কেন্দ্র করেই ঘটেছে আর্থিক দুর্নীতি
মুম্বই পুলিশের ইকোনমিক অফেন্স উইং সূত্রে খবর, প্রায় ৬৫ কোটি টাকার গড়বড় পাওয়া গিয়েছে। বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের কিছু আধিকারিক, কেরলের একটি ফার্ম, কেতন কদম এবং জয় যোশীর বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গিয়েই এই বিপুল পরিমাণ আর্থিক কেলেঙ্কারির কথা মুম্বই পুলিশের আর্থিক অপরাধ শাখার সামনে আসে। কেতন কদম এবং জয় যোশী নদী থেকে পলি পরিষ্কার করার মেশিন ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা করতেন। উল্লিখিত ব্যক্তিরা একযোগে বরাত নিয়েছিলেন মিঠি নদী পরিষ্কার করার।
অভিযোগ উঠেছে, বিএমসি- র একটি দল কেরলের ম্যাটপ্রপ সংস্থার প্ল্যান্ট পরিদর্শনে গিয়েছিল। কেরলের এই ফার্ম নদী থেকে পলি অপসারণ এবং ড্রেজিং মেশিনের জন্য বিশেষজ্ঞ একটি সংস্থা। পরবর্তীতে বিএমসি একটি টেন্ডার প্রকাশ করে যেখানে ম্যাটপ্রপ কোম্পানির মেশিনের সঙ্গে হুবহু মিলে যাওয়া স্পেসিফিকেশনের কথা বলা হয়েছে। এর অর্থ কোনও কন্ট্রাক্টর টেন্ডারের জন্য আবেদন করলে তাঁকে কেরকে ওই ফার্ম থেকেই মেশিন কিনতে কিংবা ভাড়া নিতে হবে।
তদন্তে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এক বিএমসি কর্তা কেরলের ওই ফার্মে মেশিন কিনতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় কেতন কদম এবং জয় যোশীর সঙ্গে, যাঁরা আদতে 'মিডলম্যান'। পলি তোলার মেশিন এবং আরও কিছু মেশিন ভাড়া দেওয়ার ২ বছরের চুক্তির জন্য ৮ কোটি টাকা দাবি করেন কেতন ও জয়। অবশেষে ৪ কোটি টাকায় একটি চুক্তি হয়েছিল।






















