অঙ্কিতা লোখান্ডের ফ্ল্যাটের অর্ধেকের মালিকানা যেতে পারে সুশান্তর পরিবারের হাতে, কারণ কী দেখুন
প্রত্যেকদিন এই ঘটনায় নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে...
মুম্বই: বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যু মামলার তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। প্রত্যেকদিন এই ঘটনায় নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে। সুশান্তর মৃত্যুর পর তাঁর প্রাক্তন গার্লফ্রেন্ড অঙ্কিতা লোখান্ডের ফ্ল্যাটও আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে।
কিছুদিন আগেই অঙ্কিতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে, তাঁর ফ্ল্যাটের ইএমআই কাটা হত সুশান্তর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে। এই অভিযোগ খারিজ করে অভিনেত্রী তাঁর ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে বলেছিলেন, তাঁর ফ্ল্যাটের ইএমআই তিনিই দিয়ে আসছেন।
এরপর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, সম্পর্ক বিচ্ছেদ হওয়ার পর সুশান্ত কি ফ্ল্যাটে নিজের অংশ ব্যবহার করার অনুমতি অঙ্কিতাকে দিয়েছিলেন? অঙ্কিতার বয়ান অনুযায়ী তিনি প্রতিমাসের দশ তারিখে ইএমআই বাবদ ৭৪,২৯৬ ও ২৩,৭৭৫ টাকা দেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় অঙ্কিতা জানিয়েছিলেন যে, তিনি তাঁর ফ্ল্যাটের ও সুশান্ত নিজের ফ্ল্যাটের ইএমআই দিতেন।
সুশান্তর সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদের পর অঙ্কিতা ঘর ছাড়েননি। তিনি এখনও এই ফ্ল্যাটেই থাকেন। যদিও এ ব্যাপারে অঙ্কিতা এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি। উল্লেখ্য, অঙ্কিতা ও সুশান্তর ফ্ল্যাট একসঙ্গে যুক্ত। কিন্তু রেজিস্ট্রি দুজনের নামে আলাদা আলাদাভাবে রয়েছে। দুজনেই বিয়েও হয়নি। তাই আইন অনুসারে, সুশান্তর মৃত্যুর পর ফ্ল্যাটের মালিকানা তাঁর পরিবারের হাতে যাবে।
উল্লেখ্য এই ফ্ল্যাট অঙ্কিতা ও সুশান্ত ২০১৩-তে মুম্বইয়ে মলাড ওয়েস্ট এলাকায় ইন্টারফেস হাইটসে কিনেছিলেন। দুজনে একই পরিবারের আলাদা আলাদা সদস্যদের কাছ থেকে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন।
রেজিস্ট্রেশন অনুযায়ী, সুশান্ত এই ফ্ল্যাট প্রশান্ত গুপ্তা ও মানসী গুপ্তা এবং অঙ্কিতা সাবিত্রী গুপ্তার কাছ থেকে ২০১৩-র ১০ মে কিনেছিলেন। অঙ্কিতার ফ্ল্যাট নম্বর ৪০৪, সুশান্তর ৪০৩। দুটি ফ্ল্যাট পরে একসঙ্গে যুক্ত করা হয়। ওই সময় দুটি ফ্ল্যাটের দাম ছিল ১.৩৫ কোটি টাকা।