'Juto': কলকাতায় প্রথম তথাগত মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে সৌরিশের নির্বাক ছবি 'জুতো'র 'ক্যাফে মুক্তি'
Cafe Release: ছবিটি ক্যাফেতে ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দিনে একটাই নির্দিষ্ট শো-টাইমে দেখা যাবে। উদ্যোক্তাদের মতে 'ক্যাফে রিলিজ'-এর এই উদ্যোগ সফল হলে এটি ভবিষ্যতে জনপ্রিয়তা পাবে।
কলকাতা: আগামী ২৫ নভেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে পরিচালক সৌরিশ দে'র (Sourish Dey) প্রথম ছবি 'জুতো' (Juto)। তবে আর পাঁচটা ছবির মতো প্রেক্ষাগৃহে বা ওটিটি প্ল্যাটফর্মে নয়। একেবারে অন্য ধরনের মুক্তি হতে চলেছে এই ছবির, যা কলকাতা শহরে আগে কখনও হয়নি। 'ক্যাফে'তে মুক্তি (cafe release) পাবে এই ছবি। সেটা ঠিক কীরকম? জানা যাক বিস্তারে।
এবার সিনেমা অন্যভাবে...
পরিচালক সৌরিশ দে'র প্রথম ছবি 'জুতো'য় সেই অর্থে কোনও তারকা নেই। অভিনেতা, পরিচালক কেউই স্টার নন। তার ওপর এই ছবি একেবারে নির্বাক চলচ্চিত্র। এছাড়া ছবির মুক্তি হবে একেবারে চিরাচরিত প্রথা ভেঙে। ফলে অনেকাংশেই এই ছবি বাকিদের থেকে আলাদা। তা ছাড়াও ছবির মূল বিষয় আকর্ষণ করবে দর্শকদের বেশি। ছবিটির দৈর্ঘ্য ৮০ মিনিট।
কোভিড পরবর্তী সময়ে বক্স অফিসে ঘুরে দাঁড়াতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে টলিউডকে। ফলে শহরের বিভিন্ন প্রান্তের বেশিরভাগ সিনেমা হলেই অগ্রাধিকার পাচ্ছে তারকা সম্বলিত বড় বাজেটের ছবিগুলি। আর সেই সবকিছুর মধ্যে দাঁড়িয়েও স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা সৌরিশ একেবারে অন্য পথ বেছে নিয়েছে। তাঁর প্রথম ছবিই নির্বাক অর্থাৎ সাইলেন্ট ফিল্ম, দৈর্ঘ্য ৮০ মিনিট। তবে এই ছবির না আছে বিশাল বাজেট, না তারকাদের সমাহার, না প্রেক্ষাগৃহের সাহায্য।
যা বাজেট, তাতে ২৫ নভেম্বর শুধুমাত্র নজরুল তীর্থে এই ছবি মুক্তি পাবে। কিন্তু এরই সঙ্গে চমকপ্রদ ঘটনা হচ্ছে, এই ছবি মুক্তি পাবে শহরের এক ক্যাফেতে। কলকাতায় এমন উদাহরণ প্রথমবার। অর্থাৎ একটি ক্যাফে ও একটি প্রেক্ষাগৃহে একই দিনে মুক্তি পাচ্ছে 'জুতো'। এই ক্যাফে রিলিজের উদ্যোগে হাত রয়েছে অভিনেতা-পরিচালক তথাগত মুখোপাধ্যায়ের।
ছবিটি দক্ষিণ কলকাতার এক ক্যাফেতে ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দিনে একটাই নির্দিষ্ট শো-টাইমে দেখা যাবে। উদ্যোক্তাদের মতে 'ক্যাফে রিলিজ'-এর মাধ্যমে যদি সব ভালভাবে প্রথমবার মিটে যায় তাহলে স্বাধীন চিত্র নির্মাতাদের জন্য নতুন দিশা খুলে দেবে সেটি। তাঁদের কাজ সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া অনেক সহজ হবে।
এই উদ্যোগের নিবেদক তথাগত বলছে, 'গোলমালের এই যুগে পরিচালক সৌরিশ দে, প্রযোজক সুরজিৎ চন্দ ও স্নিগ্ধা বিশ্বাস এবং চিত্রগ্রাহক রাজীব সেনগুপ্ত নির্বাক চলচ্চিত্র নির্মাণের সাহস দেখিয়েছেন। আমি পোস্টার, ট্রেলার এবং ছবিটি দেখেছি। খুব আকর্ষণীয় বলে মনে হয়েছে।'
প্রসঙ্গত, এই ক্যাফেটি তৈরিই হয়েছিল ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্মমেকারদের জন্য। এমন পরিচালক যাঁদের কাজ দুর্দান্ত কিন্তু বাজেটের বড় অভাব। তাঁরা যোগাযোগ করতে পারেন 'ক্যাফে ওহানা'য়। জানান তথাগত।
আরও পড়ুন: Bonny Sengupta: অ্যাকশন কমেডিতে 'লুঙ্গিম্যান' বনি, মুক্তি আগামী বছর
পরিচালকের কথায়, 'এটি আমার প্রথম ছবি এবং স্বাভাবিকভাবে মনের খুবই কাছের। ২০১৭ সালে শুরু করে ২০১৯-এ কাজ শেষ করি। তারপরই আসল লড়াই শুরু। বাজেট এত কম ছিল যে কোনও ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল বা প্রেক্ষাগৃহে যেতে পারিনি। তখন পাশে দাঁড়ায় তথাগত দা ও ক্যাফে ওহানা। তবে এরসঙ্গে নিউটাউনের নজরুল তীর্থতেও মুক্তি পাবে ছবি যেখানে বিশেষ স্ক্রিনিংয়ে কেবল মূক ও বধির দর্শকেরা প্রবেশ করতে পারবেন।'