Kaushik Ganguly: মাতৃহারা অভিনেতা-পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, শেষকৃত্য সেরেই যোগ দিলেন আরজি করের জমায়েতে
Kaushik Ganguly mother death: সদ্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে কৌশিকের সিনেমা 'কাবেরী অন্তর্ধান'
কলকাতা: মাতৃহারা পরিচালক-অভিনেতা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় (Kaushik Ganguly)। রবিবার আরজি করের মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় একত্র হয়েছিল টলিপাড়া। কথা ছিল, এদিন মিছিলে পা মেলাবেন টলিপাড়ার সমস্ত অভিনেতা অভিনেত্রীরা। তবে রবিবার বিকেলেই মাতৃবিয়োগ হয় কৌশিকের। রবিবার বিকালে গড়িয়ার কানুনগো পার্কে কৌশিকের পৈতৃক বাড়িতেই প্রয়াত হয়েছেন কৌশিকের মা বুলা গঙ্গোপাধ্যায়। পরিবার সূত্রে খবর, বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
রবিবার সিনেমাপাড়ার মিছিলে সামিল হয়েছিলেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। একা কৌশিক নন, এই মিছিলে ছিলেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, সৌরসেনী মৈত্র, অঙ্কুশ হাজরা, ঐন্দ্রিলা সেন, সৌরসেনী মৈত্র ও অন্যান্যরা। কৌশিক প্রথমে ভেবেছিলেন এদিন তিনি মিছিলে যোগ দেবেন না। তবে বিকেলে মায়ের প্রয়াণের খবর পেয়ে স্ত্রী চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায় আর ছেলে উজানকে নিয়ে হাজির হন গড়িয়ার পৈতৃক বাড়িতে। সেখানে গিয়ে মায়ের শেষকৃত্য সেরেই কৌশিক এসে যোগ দেন মিছিলে। সঙ্গে ছিলেন চূর্ণীও। সেখানেই কৌশিক জানান, সদ্য তাঁর মাতৃবিয়োগ হয়েছে। তাঁর উত্থানের পিছনে নিজের বাবা-মায়ের কথা একাধিকবারই ভাগ করে নিয়েছেন কৌশিক। অস্থির এই সময়ে, কৌশিকের জীবনে আরও এক ব্যক্তিগত ক্ষতি হয়ে গেল রবিবারই।
সদ্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে কৌশিকের সিনেমা 'কাবেরী অন্তর্ধান'। এই পুরস্কার পেয়ে এবিপি লাইভকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কৌশিক বলেছেন, 'জাতীয় পুরস্কার পাওয়া যে কোনও শিল্পীর কাছেই ভীষণ গর্বের। ভীষণ আনন্দের। এত বাংলা ছবির মাঝখানে সেরা বাংলা ছবির পুরস্কার পাওয়া ভীষণ আনন্দের। আমি, আমার প্রযোজক সুরিন্দর ফিল্মস, কাবেরী অন্তর্ধানের গোটা টিম এই পুরস্কার খুবই সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করলাম। আমি ব্যক্তিগতভাবে ভীষণ খুশি আনন্দ আঢ্য এবং সোমনাথ কুণ্ডুর জন্য। এটা আমার কাছে বিরাট গর্বের। এত কম রিসোর্সের মধ্যেও যখন আমাদের টেকনিশিয়ানরা জাতীয় স্তবে সম্মান অর্জন করতে পারেন, সেটা আমার কাছে ভীষণ গর্বের। নগরকীর্তনের সময়ও দেখেছিলাম। এত কম জিনিস নিয়ে, এত অভাবের মধ্যে কাজ করেও জাতীয় স্তরে বাংলার টেকনিশিয়ানরা যখন দেশের সেরা হয়ে ওঠেন, সেটা গোটা ইন্ডাস্ট্রির কাছে ভীষণ গর্বের। আজকে কাবেরী অন্তর্ধান যে সেরা বাঙালি ছবি হয়েছে, তাতে এই ছবির সঙ্গে যে আড়াইশো মানুষ কাজ করেছেন তাঁদের প্রত্যেকের অবদান রয়েছে। সবাই সবার সেরাটা না দিলে এই ছবি কখনও সেরার সম্মান পেত না। কাবেরী অন্তর্ধানের পুরস্কার পাওয়ার যে আনন্দ, সেটা আমি বাংলার সমস্ত টেকনিশিয়ানদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।