Mumbai Drug Case: ‘এটা আপনার প্রোডাকশন হাউস নয়’, এনসিবি অফিসে অনন্যা পাণ্ডেকে ‘ধমক’ দিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে
আর এভাবে অনন্যার দেরি করে পৌঁছনোয় এনসিবি অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ে অসন্তোষ গোপন করেননি বলেই খবর। তিনি কার্যত ধমক দেন রূপোলি পর্দার উঠতি অভিনেত্রীকে।
মুম্বই: ক্রুজ মাদক মামলায় গতকাল বলিউড অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে নাকরোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। নির্ধারিত সময়ের পর কিছুটা দেরি করেই এনসিবি অফিসে পৌছেছিলেন অনন্যা পাণ্ডে। আর এভাবে অনন্যার দেরি করে পৌঁছনোয় এনসিবি অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ে অসন্তোষ গোপন করেননি বলেই খবর। তিনি কার্যত ধমক দেন রূপোলি পর্দার উঠতি অভিনেত্রীকে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারও এনসিবি অফিসে অনন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। এরপর শুক্রবারও তাঁকে ডাকা হয়েছিল। এনসিবি-র পক্ষ থেকে অনন্যাকে বেলা ১১ টায় আসতে বলা হয়েছিল। কিন্তু অনন্যা এনসিবি অফিসে পৌঁছন দুপুর দুটো নাগাদ।
এর আগের দিনও এনসিবি অনন্যাকে দুপুর দুটোয় সময় দিয়েছিল। কিন্তু তিনি বিকেল চারটেয় পৌঁছেছিলেন। এ জন্য এনসিবি জিজ্ঞাসাবাদ সম্পূর্ণ করতে পারেনি। এরপর গতকালও দেরিতে পৌঁছনোয় ক্ষুব্ধ হন এনসিবি-র জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে। তিনি কড়া ভাষায় তিরস্কার করেন অনন্যাকে।
অনন্যাকে ধমক দেন সমীর ওয়াংখেড়ে। তিনি অনন্যাকে বলেন, আপনাকে ১১ টার সময় ডাকা হয়েছিল। আর আপনি এসেছেন এখন। অফিসাররা তো আপনার অপেক্ষায় বসে থাকতে পারেননি। এটা আপনার কোনও প্রোডাকশন হাউস নয়, এটা কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিস। যখন ডাকা হবে, তখন পৌঁছবেন।
উল্লেখ্য, মাদক মামলায় অনন্যাকে আরিয়ান খানের সঙ্গে তাঁর চ্যাট সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল এনসিবি। এনসিবি সূত্রে খবর, ওই চ্যাটে অনন্যা গাঁজা সংক্রান্ত ব্যাপারে আরিয়ানের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছিলেন বলে অভিযোগ। আরিয়ান ওই চ্যাটে গাঁজা জোগাড় করার কথাও বলেছিলেন বলে অভিযোগ। যদিও প্রথম দিনের জিজ্ঞাসাবাদে এ সংক্রান্ত সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন বলে খবর।
শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খানের মাদক-যোগের সূত্র খুঁজতে ইতিমধ্যেই জড়িয়ে গিয়েছে খান পরিবারের প্রায় তিন দশকের বন্ধু চাঙ্কি পাণ্ডের মেয়ে অনন্যার পাণ্ডের নাম। গত বৃহস্পতিবার প্রথমে অনন্যা পাণ্ডের বাড়িতে তল্লাশি, পরে তাঁকে দফতরে ডেকে ২ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এনসিবি-র আধিকারিকরা।
বৃহস্পতিবারের মতোই গতকালও অনন্যার সঙ্গে ছিলেন বাবা চাঙ্কি পাণ্ডে। এনসিবি সূত্রে খবর, এদিন আরিয়ান খানের সঙ্গে সেই হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথনের ভিত্তিতেই প্রশ্ন করা হয় অনন্যাকে। যদিও এনসিবি সূত্রে দাবি, ড্রাগ নেওয়া বা জোগান দেওয়ার সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অনন্যা পাণ্ডে।