Adnan Sami Birthday: 'কাকতালীয় নয়, এটাই ভাগ্য', স্বাধীনতা দিবসে নিজের জন্মদিন উদযাপন করে জানালেন আদনান শামি
একদিকে যখন দেশের মানুষ ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছেন, তখন অন্যদিকে স্বাধীনতা দিবস পালনের সঙ্গে সঙ্গে নিজের ৫০ তম জন্মদিন পালন করছেন আদনান শামি।
মুম্বই : কাকতালীয়ভাবে ভারতের স্বাধীনতা দিবস আর সঙ্গীতশিল্পী আদনান শামির জন্মদিন একই দিনে। একদিকে যখন দেশের মানুষ ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছেন, তখন অন্যদিকে স্বাধীনতা দিবস পালনের সঙ্গে সঙ্গে নিজের ৫০ তম জন্মদিন পালন করছেন আদনান শামি। তাই ১৫ অগাস্টের বিশেষ দিনটা বলিউডের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পীর জীবনে অবশ্যই স্পেশাল।
আদনান শামির জন্ম হয় লাহোরে। পরবর্তীকালে ২০১৬ সালে তিনি ভারতের নাগরিকত্ব পান। কিন্তু সঙ্গীতশিল্পী মনে করেন যে, ১৯৯৯ সালে তিনি যখন প্রথমবার ভারতে কাজের সূত্রে আসেন, তখন থেকেই এই দেশের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক শুরু হয়ে যায়। আদনান শামি বলছেন, 'আজকের দিনে দাঁড়িয়ে আমি বিশ্বাস করি, আমার জন্মদিনের সঙ্গে ভারতের স্বাধীনতা দিবস এক হওয়া একেবারেই কাকতালীয় ঘটনা নয়। কারণ, আমার মনে হয়, আমার ভাগ্যেই এমনটা লেখা ছিল যে আমি ভারতেরই নাগরিক হব।'
তিনি আরও বলছেন, 'ঈশ্বর যেভাবে আমার ভাগ্য নির্ধারণ করেছেন, তাতে তিনি পরিকল্পনা করেই রেখেছিলেন যে আমি ভারতীয়ই হব। ১৯৪৭ সালে দুর্ভাগ্যবশত দেশভাগ হয়। কিন্তু ১৫ অগাস্ট জন্মদিন হওয়ায় এটা যেন পরিস্কার যে, আমি ভারতীয় হওয়ার জন্যই জন্ম নিয়েছি। আমি খুবই রোম্যান্টিক হৃদয়ের মানুষ। তাই আমি ভালোবাসার গান লিখতে পারি। আর সেই ভালোবাসা যা ভারতের জন্য রয়েছে আমার মধ্যে।'
এত কিছুর মধ্যেও আদনান শামি এটা ভুলে যাননি যে, ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য কতটা ঝক্কি পোহাতে হয়েছিল তাঁকে। কীভাবে দিনের পর দিন টেকনিক্যাল কারণে তাঁর আবেদন বাতিল হয়ে গিয়েছে। তিনি বলছেন, 'বারবার আবেদন বাতিল হয়ে যাওয়ার পরও আমি মোটেই হাল ছেড়ে দিইনি। জানতাম ঠিক একদিন আমার আবেদন গ্রাহ্য হবে। আর সেই দিনটা আসতে ১৬ বছর লেগে গিয়েছে। যতদিন না আমি ভারতের নাগরিক হতে পারতাম, ততদিন চেষ্টা চালিয়ে যেতাম। যদি আরও ১৬ বছর লাগত, তাহলেও হাল ছেড়ে দিতাম না। এটা ভারতের প্রতি আমার সেই ভালোবাসা, যা আমাকে হাল ছেড়ে দিতে দেয়নি।'
স্ত্রী রোয়া এবং মেয়ে মেদিনাকে নিয়ে সুখের সংসার আদনান শামির। জন্মদিনে কী পরিকল্পনা রয়েছে? তিনি বলেন, 'জন্মদিন উদযাপনে আমার পক্ষ থেকে যদি কোনও কিছু বাকি থেকে যায়, তাহলে গোটা দেশবাসী তা পূরণ করে দেবে। আমার জন্মদিনে দেশের প্রত্যেকের মুখে হাসি রয়েছে, এটাই সবথেকে বড় পাওনা।'