ছেলের আবদারে 'ক্যামেরার অন্যদিকে' প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, পোস্ট করলেন ছবি
বাংলা ছবির দুনিয়ায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় নিজেই যেন ইন্ডাস্ট্রি। এমনটাই মনে করেন তাবড় অভিনেতা অভিনেত্রী থেকে বাংলা ছবির দর্শকরা। তিনি পর্দায় থাকলে আর কিছু দরকার নেই।
কলকাতা: সম্প্রতি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেলের সঙ্গে একটি মিষ্টি ছবি পোস্ট করলেন টলি অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। লাল পাঞ্জাবি পরে ক্যামেরাবন্দি হলেন পিতা-পুত্র। ছবিতে দেখা গেল ছেলে তৃষানজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ছবি তুলে দিচ্ছেন টলিউডের সুপারস্টার বুম্বা দা। সঙ্গে একটা মজার ক্যাপশনও লিখেছেন তিনি। ক্যাপশনে লেখেন, 'মিশুকের আবদারে ক্যামেরার অন্যদিকে'।
সাধারণত প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে আমরা ক্যামেরার সামনেই দেখে থাকি, অভিনয় করতে। কিন্তু ছেলের আবদারে এবার ক্যামেরার পিছনে তিনি। বাবা-ছেলের সেই মিষ্টি মুহূর্তও ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। সেটাই পোস্ট করেছেন তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায়।
View this post on Instagram
কিছুদিন আগেই পুজোয় আরও ছবি পোস্ট করেন অভিনেতা। পরনে পাঞ্জাবি পাজামা, একেবারে সাদামাটা পোশাক। সন্ধিপুজোর আরতির জন্য প্রদীপ জ্বালাচ্ছেন তিনি। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তারকাসুলভ দূরত্ব সরিয়ে, ঠিক ছোটবেলার মতো করে যেন উপভোগ করতে দেখা গেল পুজো। সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকটি ছবি শেয়ার করেন অভিনেতা। সঙ্গে কয়েক লাইনের ক্যাপশানে লেখেন মন ছোঁয়া বার্তা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকটি ছবি পোস্ট করে প্রসেনজিৎ লেখেন, 'গতকাল রাত ১১:৩০ নাগাদ হঠাৎ মায়ের ইচ্ছেতেই যেন পৌঁছে গেলাম এই পুজো মণ্ডপে। তখন মণ্ডপ প্রায় জনমানবহীন বললেই চলে। সেখানেই শুনলাম চণ্ডীপাঠ আর সন্ধিপুজোর অংশ-ও হয়ে উঠলাম। এ যেন এক ম্যাজিকাল অভিজ্ঞতা।' ছোট্ট বার্তা থেকেই স্পষ্ট, একেবারে বাড়ির পুজোর মতই সেই পুজোয় সামিল হতে পেরেছেন তিনি।
বাংলা ছবির দুনিয়ায় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় নিজেই যেন ইন্ডাস্ট্রি। এমনটাই মনে করেন তাবড় অভিনেতা অভিনেত্রী থেকে বাংলা ছবির দর্শকরা। তিনি পর্দায় থাকলে আর কিছু দরকার নেই। একার কাঁধে দায়িত্ব নিয়েই দীর্ঘদিন বাংলা ছবিকে টেনে নিয়ে গিয়েছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। বাংলা তো বটেই, সারা দুনিয়া জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। একই অঙ্গে কত প্রতিভা রয়েছে অভিনেতার। অভিনেতা হিসেবেই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে বেশিরভাগ দর্শকরা চিনে থাকলেও, তাঁর প্রতিভার শেষ নেই। তিনি যেমন নাচে পটু, তেমনই গানেও দক্ষ। বেশ কিছু ছবিতে তাঁর গলায় গান আমরা শুনে ফেলেছি ইতিমধ্যেই।