Sonu Sood on Job: মানুষকে চাকরি দিন, সেটাই সবচেয়ে বড় সাহায্য: সোনু সুদ
'এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সাহায্য বা উপকার কাউকে অর্থ উপার্জনের রাস্তা করে দিতে পারা', ট্যুইটারে লিখলেন সোনু সুদ
মুম্বই: 'এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সাহায্য বা উপকার কাউকে অর্থ উপার্জনের রাস্তা করে দিতে পারা', ট্যুইটারে লিখলেন সোনু সুদ। করোনাকালে চূড়ান্ত ক্ষতির মুখ দেখেছে দেশের অর্থনীতি। কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। আর সেই সমস্ত মানুষের হয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের বক্তব্য রাখলেন সোনু।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের নতুন উদ্যোগের কথা পোস্ট করেছিলেন সোনু। করোনায় অনাথ শিশুদের শিক্ষার দায়িত্ব সরকারকে নিতে বলা থেকে শুরু কর সমস্ত মানুষের পড়াশোনার প্রয়োজনীয়তার কথা একাধিকবার উঠে এসেছে তাঁর মুখে। আর এবার পড়ুয়াদের দিকে আরও একবার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন সোনু সুদ। আর্থিক অভাবের জন্য যে সমস্ত পড়ুয়ারা আইপিএস পরীক্ষার জন্য তৈরি হতে পারছেন না, তাঁদের জন্য় বিনামূল্যে কোচিং স্কলারশিপের বন্দোবস্ত করেছেন সোনু সুদ।
করোনা পরিস্থিতিতে বার বার মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সোনু সুদ। বলিউডে বক্স অফিসে ছবির ব্যবসা দিয়েই মাপা হয় তারকাদের যশ, খ্যাতি। কিন্তু কেবল অভিনয়, গ্ল্যামার বা পেশাদারি সাফল্য নয়, মানবিকতা দিয়েও যে অনায়াসে মন জয় করা যায় তা শেখালেন সোনু সুদ। আসমুদ্র হিমাচল যাঁকে চেনে ‘দাবাং’-এর ছেদী সিং’ হিসাবে। তাঁর নিষ্ঠুর চাহনি, পেশিবহুল চেহারা আর খুনে মেজাজ দর্শকদের শিরদাঁড়া দিয়ে হিমেল স্রোত বইয়ে দেয়। করোনা আবহে অবশ্য উলটপুরাণ হয়েছে। পর্দার খলনায়ক সোনু এখন জনতার চোখে ‘মসিহা’। লকডাউনে ভিনরাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের ফেরাতে তাঁর মহৎ উদ্যোগ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। নিজে রাস্তায় নেমে শ্রমিকদের ফেরার ব্যবস্থা করেছেন। হাতে তুলে দিয়েছেন খাবারের প্যাকেট, জল। শুধু তাই নয়, অনাথ শিশুদের শিক্ষার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা সবকিছুতেই অগ্রগণ্য সোনু ও তাঁর টিম।
সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতিতে ছোট ব্যবসায়ীদের সমর্থনে একটি অভিনব ভিডিও পোস্ট করেছিলেন সোনু সুদ। করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ শপিং মল। শেয়ার করা ভিডিওতে সোনু বলেছেন, 'কে বলছে করোনা পরিস্থিতিতে শপিং মল বন্ধ? সবচেয়ে বড় সুপারমার্কেট তো এখানে আছে! আমার কাছে ডিম আছে, এটার ৬টাকা পিস করে পাওয়া যাচ্ছে। পাঁউরুটির বড় প্যাকেট ৪০ টাকা, ছোট প্যাকেট ২২ টাকা। এরসঙ্গে আছে পাও। এছাড়াও মুড়ি, চিপস, সবকিছুই আমার কাছে আছে আর সেটা খুব কম দামে। যার যার প্রয়োজন নিয়ে যেতে পারেন। বাড়ি গিয়েও পৌঁছে দিয়ে আসা যায়। সেক্ষেত্রে পয়সা একটু বেশি লাগবে। যার যা লাগবে তাড়াতাড়ি অর্ডার করে দিন' এই কথা বলেই সাইকেল চালাতে শুরু করেন সোনু সুদ। তাঁর সাইকেলে প্রচুর ঝোলানো ব্যাগ, আর পিছনে রাখা ডিম। ক্যাপশনে লেখা, ১০টা ডিমের সঙ্গে একটা পাঁউরুটি বিনামূল্যে।