Rekha on Marriage: স্বামীর মৃত্যুর পরেও সিঁদুর পরেন, কিন্তু কেন আর কখনও বিয়ে করলেন না রেখা?
Rekha News: অনেক তারকার সঙ্গেই রেখার প্রেমের সম্পর্কের গুঞ্জন ছিল। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক বেশ আলোচনায় ছিল

কলকাতা: তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। শোনা যায়, অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan) -এর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন তিনি। কিন্তু কেবল এই এক নায়ক নয়, একাধিক নায়কের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তাঁর। এক এক সময় শোনা গিয়েছে, এক এক জন নায়কের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, তিনি কেন সমস্ত সময়ে সিঁদুর পরেই, সেই নিয়েও চর্চার শেষ নেই। তিনি রেখা। বলিউডের কিংবদন্তি নায়িকা। বর্ষীয়ান এই নায়িকার সঙ্গে একাধিক প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও, তিনি বিয়ে করেছিলেন একবারই। কিন্তু সেই বিয়ের সুখের হয়নি।
রেখার স্বামী মুকেষ অগ্রবালের করুণ পরিণতি
অনেক তারকার সঙ্গেই রেখার প্রেমের সম্পর্কের গুঞ্জন ছিল। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক বেশ আলোচনায় ছিল। তবে ১৯৯০ সালে রেখা দিল্লির এক ব্যবসায়ী মুকেশ অগ্রবালের সঙ্গে বিয়ে করেছিলেন। দুঃখের বিষয়, তাঁদের বিয়ে বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। বিয়ে হওয়ার এক বছরও পূর্ণ হয়নি, তার মধ্যেই মুকেশ আত্মহত্যা করেছিলেন। মুকেশের মৃত্যুর পর মানুষ রেখাকেই দোষারোপ করেছিলেন। তাঁকে ডাইনি পর্যন্ত বলা হয়েছিল। এই ঘটনার পর রেখা ভেঙে পড়েছিলেন। তখন থেকেই তিনি আর দ্বিতীয়বার বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেননি। রেখার এখন বয়স ৭০ বছর, তিনি একাই জীবন কাটাচ্ছেন।
কেন রেখা আর বিয়ে করলেন না?
মুকেশ অগ্রবালের মৃত্যুর পরে রেখা আর বিয়ে করেননি। সম্প্রতি দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে, এই বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে রেখা বলেছিলেন, তিনি আর কাউকে হারাতে চান না। কেই কারণেই তিনি আর বিয়ে করেননি। তবে রেখা চিরকালই মাথায় চওড়া করে সিঁদুর পরেন।
মাতৃত্ব সম্পর্কে রেখা
সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রেখা মাতৃত্ব নিয়েও কথা বলেছিলেন। যখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল জীবনে সন্তানের অভাব কি তিনি অনুভব করেন, তখন তিনি কিছু চমকপ্রদ কথা বলেছিলেন। অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘আমি এখন সেই আকাঙ্ক্ষা অনুভব করি না।’ রেখা বলেছিলেন, “যদিও আমার সন্তান লালন-পালনের জন্য কোনও আদর্শ ব্যক্তি পাওয়া যায়, কিন্তু এটা আমার মূল্যবোধের জন্য ন্যায্য হবে না। আমি এমন মানুষ নই, যিনি নিজেকে শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির জন্য উৎসর্গ করতে পারব। যদি আমার কোনও সন্তান হত, তাহলে আমার সম্পূর্ণ মনোযোগ তাদের উপর চলে যেত এবং আমি অন্য কোনও জিনিসে সময় বা ক্ষমতা দিতে পারতাম না।'
সম্পর্ক শুধুমাত্র পরিবার পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয়
রেখা আরও বলেছিলেন যে তাঁর সম্পর্ক শুধুমাত্র পরিবার পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি অনেক বৃহত্তর পরিসরে বিস্তৃত। রেখা বলেছিলেন, 'পৃথিবী জুড়ে এমন সকল শিশু ও মানুষ রয়েছেন, যাদের সঙ্গে আমি আধ্যাত্মিকভাবে একটা টান অনুভব করি? যদি আমার রেখা হওয়ার সৌভাগ্য হয়ে থাকে, তাহলে আমার কর্তব্য যে, যাঁরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চান তাদের জন্য উপলব্ধ থাকা।' যদিও রেখা আর কখনও বিয়ে করেননি, কিন্তু তিনি স্পষ্ট করে বলেছিলেন যে যদি তিনি কোনও সম্পর্কে থাকেন, তাহলে তিনি সম্পূর্ণভাবে নিবেদিত থাকবেন। তিনি বলেছিলেন, “আমি এমন একজন মানুষ, যিনি সম্পর্কে সবকিছু দিয়ে দেব। আমি তার বিছানা তৈরি করতাম, তার পোশাক বেছে নিতাম, তার খাবারের যত্ন নিতাম এবং এমনকি তার লাঞ্চ বানিয়ে নিজেই পৌঁছে দিতাম। আমি এতটাই মনোযোগী।” রেখা আরও বলেছিলেন, 'কিন্তু এ সব করার অর্থ হল আমাকে সেই বৃহৎ জগৎ থেকে, আমার পরিচিতি থেকে দূরে সরে যেতে হবে।' তিনি এটাও স্বীকার করেছিলেন যে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি অবাস্তব মনে হতে পারে, কিন্তু তিনি তাঁর অনুভূতি সম্পর্কে সৎ।






















