কলকাতা: স্ট্রেস (Stress)। খুবই সাধারণ একটা শব্দ। আজকের দিনে হামেশাই এই শব্দটা শোনা যায়। বিশেষজ্ঞরা জানান, আজকের দিনে বহু মানুষে স্ট্রেসের সমস্যায় আক্রান্ত। তাঁরা জানাচ্ছেন, যখনই আমরা নিজেদের প্রতিকূল পরিবেশে পাই বা ভয়ঙ্কর কোনও পরিস্থিতিতে পাই, তখনই যে মানসিক সমস্যা দেখা দেয়, তাই স্ট্রেস। এই সমস্যা শুধু মানসিক স্বাস্থ্যেরই ক্ষতি করে না। তার সঙ্গে ক্ষতি করে শরীরেও। স্ট্রেসের কারণে মাথার যন্ত্রণা, মাইগ্রেনের সমস্যা, উদ্বেগ, অবসাদ, হজমের সমস্যা, ঘুমের সমস্যা, হৃদরোগ, রক্তচাপের সমস্যা, ওজন বেড়ে যাওয়া এবং আরও অনেক সমস্যা দেখা দেয়। তবে, বেশ কিছু খাবার রয়েছে, যা নিয়মিত তালিকায় রাখলে স্ট্রেসের সমস্যা কম হয়। সে সম্পর্কেই জানাচ্ছেন তাঁরা।


যে খাবারগুলি খেলে স্ট্রেস কমে-


১. ডার্ক চকোলেট- বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ডার্ক চকোলেট শুধুই সুস্বাদু বলে খাওয়া হয় না। এর রয়েছে অনেক উপকারিতাও। ডার্ক চকোলেটে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসে স্ট্রেস দ্রুত কমতে সাহায্য করে। 


২. গরম দুধ- প্রতিদিন ঘুমতে যাওয়ার আগে গরম দুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, গরম দুধের উপকারিতা অনেক। ঘুমের সমস্যা দূর করে। মস্তিষ্ক সচল রাখতে সাহায্য করে। মেজাজ সঠিক রাখে। আর অবশ্যই স্ট্রেসের সমস্যা দূর করে।


৩. বাদাম- প্রচুর পরিমাণে উপকারী গুণাগুণ রয়েছে বাদামে। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় অবশ্যই রাখা দরকার বাদাম। শরীরের নানা সমস্যা দূর করার সঙ্গে সঙ্গে বাদাম মানসিক স্বাস্থ্যও বজায় রাখে। 


আরও পড়ুন - Laddoo Recipe: মেথি থেকে তিল, হরেকরকমের লাড্ডু তৈরির সহজ পদ্ধতি


৪. ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার- যে খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, তা রাখতে হবে খাবারের তালিকায়। স্ট্রেস, উদ্বেগ, অবসাদের মতো সমস্যা দূর করতে এর জুড়ে মেলা ভার। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার অর্থাৎ, খেতে হবে প্রচুর পরমাণে টাটকা ফল ও সব্জি, বাদাম, শস্যদানা।


৫. স্ট্রেস দূরে রাখতে খাবারের তালিকায় রাখতে হবে আনপ্রসেসড শস্য। 


পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ৬ গ্রামের বেশি নুন খেলে দেখা দিতে পারে স্ট্রেসের মতো সমস্যাও। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, খাবারে নুন ব্যবহারের সঙ্গে রয়েছে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্কও। অত্যধিক পরিমাণে নুন খেলে স্ট্রেসের (Stress) সমস্যা দেখা দিতে পারে।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।