কলকাতা: ভারতের যে কোনও কোণায় গেলেই যে পানীয় পাওয়া যাবে, তার মধ্যে অন্যতম চা। জায়গাভেদে শুধুমাত্র তার স্বাদ, রং বদলে বদলে যায়। ভারতের (India) বাজারে নানা ধরনের চা (Tea) মেলে, দার্জিলিং ফার্স্ট ফ্লাশ থেকে আর্ল গ্রে, আসাম চা থেকে গ্রিন টি- পাওয়া যায় সবই। প্রদেশ ও ব্যক্তিভেদে বদলে যায় চায়ের কদর। 


উপবিভাগ যাই হোক। চা-কে মূলত তিনটি ভাগে বিভক্ত, ব্ল্যাক টি, গ্রিন টি এবং হোয়াইট টি। বাকিগুলি এদেরই নানা উপবিভাগ। সব চা- এক ধরনের গাছ থেকেই আসে। কী পদ্ধতিতে সেগুলির প্রক্রিয়াকরণ হচ্ছে, তার উপর ভিত্তি করে নাম বদলে যায়।   


ব্ল্যাক টি:
ব্ল্যাক টি (Black Tea) বা কালো চা। চার ধাপের মাধ্যমে একটি প্রক্রিয়াজাত করা হয়। সব ধরনের চায়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্যাফেইন মেনে এই চায়ে। ফলে চটজলদি এনার্জি মেলে এই চা থেকেই। এছাড়াও আরও একাধিক সুবিধা রয়েছে এই চায়ের। কোলেস্টেরল কমাতে, হৃদযন্ত্র ভাল রাখতে সাহায্য করে এই চা। বহু পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে এই চায়ে। একাধিক পলিফেলনিক যৌগ মেলে এই চায়ে। ব্ল্যাক টি খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা, ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা লাগামে রাখা যায়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকিও কমে যায় ব্ল্যাক টি-এর খাওয়ার অভ্যাস রাখলে।   


গ্রিন টি:
অক্সিডাইজেশন হয় না গ্রিন টি (Green Tea) তৈরির প্রক্রিয়াতে। তোলার পরে হালকা আঁচে শুকনো হয় শুধু। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর এই ধরনের চা। যে কোনও ইনফ্ল্যামেশন (inflamation) বা প্রদাহের সমস্য়া থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। মস্তিষ্কের সচলতা রুখতে এবং মেটাবলিজম ঠিক রাখতে সাহায্য করে গ্রিন টি-এর পুষ্টিগুণ। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, ফ্ল্যাভোনয়েডস এবং ফেলোনিক অ্য়াসিড রয়েছে গ্রিন টি-তে। গ্রিন টি তে যে পলিফেলন যৌগ থাকে তা ব্যাকটেরিয়ানাশক হিসেবে কাজ করে। সংক্রমণ ঠেকাতেও সাহায্য করে। ফলে মুখের দুর্গন্ধও দূর করতে সাহায্য করে গ্রিন টি।  


হোয়াইট টি:
এর প্রক্রিয়াকরণও ব্ল্যাক টির-তুলনায় অনেকটাই কম। সামান্য অক্সিডাইজেশন হয় এই চা তৈরির সময়। পাতা ভাঁজ করা বা গুঁড়ো করা হয় না। হোয়াইট টি (White tea) তৈরির সময় জল গরম করা হয় ঠিকই কিন্তু তা ফুটন্ত অবস্থায় থাকে না। ১-৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখা হয়। তার বেশি ভেজালে বা বেশি গরম জল হলে তেতো হয়ে যায় এই চা। একাধিক উপকারিতা হয়েছে এই চায়ের। বিশেষ করে হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে হোয়াইট টি। ক্যানসার-বিরোধী নানা উপকারিতা হয়েছে এই চায়ের। ক্যাটেসিন (Catechin) নামের পলিফেলন থাকে এই চায়ে। যা প্রদাহ রুখতে বা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সাহায্য করে।   


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন। 


আরও পড়ুন: বারবার নামের উচ্চারণ ভুল করেন প্রফেসর, রেগে এক কাণ্ড ঘটালেন ছাত্র!