Blood Sugar Spike: ব্লাড সুগারের সমস্যা যাঁদের রয়েছে বেশিরভাগ সময়েই দেখা যায় খাবার খাওয়ার পরই তাঁদের ব্লাড সুগার চড়চড় করে বাড়তে থাকে। আচমকা ব্লাড সুগার বেড়ে গেলে শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যা যাতে এড়ানো যায়, তার জন্য কী কী করতে হবে খাবার খাওয়ার পর? জেনে নিন। খুব সাধারণ কিছু কাজ করলেই খাবার খাওয়ার পর ব্লাড সুগার আর চড়চড় করে বাড়বে না। 

  • হাল্কা হাঁটাচলা- খাবার খাওয়ার পর হাঁটাচলা করা জরুরি। নাগাড়ে অনেকক্ষণ না হাঁটলেও হাল্কা ভাবে হাঁটাচলা করা দরকার। তাহলে আচমকা সুগার বাড়বে না। ভারী খাবার খাওয়ার পর হাল্কা হাঁটাচলা করলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক পরিমাণে থাকে। তার ফলে আচমকা ব্লাড সুগার বাড়ে না। 
  • হাল্কা স্ট্রেচিং- ভারী খাবার খাওয়ার পরই সাধারণত ব্লাড সুগার আচমকা বাড়ে। তাই খাবার খাওয়ার পর হাল্কা স্ট্রেচিং করতে পারেন। ভারী খাবার খাওয়ার পর হাল্কা স্ট্রেচিং করলে আপনার হার্টবিট বা হৃদস্পন্দনও সঠিক মাত্রায় বজায় থাকবে। 
  • মেডিটেশন- ডায়াবেটিসের মধ্যে টাইপ ২ ডায়াবেটিস একটু বেশিই সমস্যা তৈরি করে। খাবার খাওয়ার পর আচমকা বেড়ে যায় ব্লাড সুগার। এই সমস্যা এড়াতে ভারী খাবার খাওয়ার পর খানিকক্ষণ মেডিটেশন করুন। ধ্যান করলে স্ট্রেস এবং উদ্বেগও কমবে। 
  • হাল্কা একসারসাইজ- ভারী খাবার খাওয়ার পর দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকবেন না। ব্লাড সুগার যাতে হঠাৎ না বাড়ে তার জন্য শরীরের নড়াচড়া হওয়া জরুরি। ভারী খাবার খাওয়ার পর অনেকক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকলে শরীরে গ্লুকোজ বেড়ে যায়। ফলে ব্লাড সুগারও আচমকা বাড়তে পারে। 
  • ভেষজ চা অর্থাৎ হার্বাল টি- খাবার খাওয়ার পর বিভিন্ন ধরনের ভেষজ চা বা হার্বাল টি খাওয়া অনেক কারণেই বেশ উপকারী। এইসব চা ব্লাড সুগারের মাত্রাও সঠিক রাখে। ভারী খাবার খাওয়ার পর ব্ল্যাক টি, গ্রিন টি, ওলং টি এগুলো খেতে পারেন। এর সাহায্যে ব্লাড সুগারের আচমকা বেড়ে যাওয়া রুখে দেওয়া সম্ভব। 

আরও পড়ুন- ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে খাওয়া বারণ অনেক কিছুই, তবে নিশ্চিন্তে খেতে পারেন কয়েকটি ড্রাই ফ্রুটস-বাদাম 

আরও পড়ুন- সকালে ঘুম থেকে উঠে কোন কোন কাজ নিয়ম মেনে করলে ভাল থাকবে আপনার হৃদযন্ত্র? 

ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।