কলকাতা: মধুমেহ (Diabetes) রোগীদের অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়। প্রচুর পরিমাণে মিষ্টি না খাওয়া, অত্যধিক পরিমাণে তৈলাক্ত খাবার না খাওয়া, ভাত না খাওয়া, রুটি না খাওয়ার মতো কত নিয়ম মেনে চলতে হয়। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখতে হয় স্বাস্থ্যকর খাবার। তার সঙ্গে নিয়মিত শরীরচর্চা করাও জরুরি। মধুমেহ রোগ চিরস্থায়ী হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে মধুমেহ রোগীরা সুস্থ থাকতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, উপকারী এক উপাদানে তৈরি রুটি খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকে মধুমেহ।


কোন উপাদানে তৈরি রুটি নিয়ন্ত্রণে রাখে মধুমেহকে-


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মধুমেহকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে ভুট্টার (Corn) তৈরি রুটি। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেলস এবং ফাইবার। যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ওজন কমাতেও ভুট্টার রুটির তুলনা নেই। এতে থাকা ফ্ল্যাভনয়েডস মধুমেহ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুধু মধুমেহ প্রতিরোধই নয়। ভুট্টার তৈরি রুটির (Corn Bread) উপকারিতা আরও অনেক। ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বকের ব্যক্তিদের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী। নিয়মিত ভুট্টার রুটি খেলে কোলেস্টেরলের সমস্যা দূর হয়। শরীরে এনার্জি ফেরাতেও এর জুড়ি মেলা ভার।


আরও পড়ুন - Sleeping Tips: বেশি রাত পর্যন্ত জেগে থাকছেন? এই রোগের শিকার হতে পারেন


বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শর্করাজাতীয় পানীয় একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয় মধুমেহ রোগীদের জন্য। এছাড়াও কৃত্রিমভাবে তৈরি শর্করাজাতীয় পানীয় মারাত্মক ক্ষতিকর। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে এই পানীয়। মিষ্টি আইস টি থেকে যেকোনও বাজার চলতি নরম পানীয় মধুমেহ রোগীদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। এই সমস্ত পানীয় মধুমেহ রোগীদের ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়ায়। সাধারণ দই মধুমেহ রোগীদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি না হলেও ফ্লেভার দেওয়া দই তাঁদের জন্য একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। স্বাদের জন্য বহু মানুষ ফ্লেভার দেওয়া দই খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু মধুমেহ রোগীদের এই খাবার থেকে দূরে থাকা দরকার। প্যাকেটজাত স্ন্যাকসও একেবারেই খাওয়া চলবে না মধুমেহ রোগীদের। এতে থাকা ক্ষতিকর উপাদান যেমন রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তেমনই ওবেসিটি থেকে আরও অন্যান্য অসুখের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। প্যাকেটজাত স্ন্যাকসের পরিবর্তে বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।