কলকাতা: বহু মানুষেরই অভ্যাস সকাল সকাল এক কাপ কফি (Coffee) খাওয়া। অথবা কাজের মাঝে এনার্জি ফেরাতে কফির কাপে চুমুক দেওয়ার। কফি খাওয়া নিয়ে নানা ধারণা রয়েছে। কেউ বলেন, অত্যধিক কফি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়। অনেক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। আবার কেউ বলেন, কফি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। দুধ দেওয়া কফি খাবেন নাকি ব্ল্যাক কফি, তা নিয়েও রয়েছে নানা মত। তবে, সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, দুধ দেওয়া এক কাপ কফি মানুষের শরীরে অ্যান্টি অনফ্লেমেটরি উপাদান তৈরি করতে পারে।
কফি খাওয়ার উপকারিতা-
বিশষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যখনই আমাদের শরীরে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস প্রবেশ করে, আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ প্রক্রিয়ায় শ্বেত রক্ত কণিকা তৈরি হয়। যা আমাদের শরীরকে বিভিন্ন ইনফেকশনের হাত থেকে বাঁচায়। জীবানু হানার ফলে নানা প্রকার প্রদাহর সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর ফলে পেশির নানা সমস্যা, আর্থরাইটিস ও আরও নানা সমস্যা দেখা দেয়। দুধ দেওয়া কফিতে রয়েছে এমন কিছু উপকারী উপাদান, যা এই প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, যা উদ্ভিদজাত খাবার থেকে, ফল ও সব্জি থেকে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। সেগুলি খুব সহজেই পাওয়া যায় দুধ দেওয়া কফি থেকে। তবে এর পাশাপাশি অত্যধিক মাত্রায় কফি খাওয়ার ক্ষতিকর দিকগুলির কথাও মনে করিয়ে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন - Health Tips: এই অসুখের কারণে কমবয়সীদের মধ্যে বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকি
তাঁদের মতে, অতিরিক্ত কফি খেলে কিডনির স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা ব্যহত হতে পারে। সকালে খালি পেটে কফি খেলে পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড তৈরি হয়। পাকস্থলীতে প্রচুর পরিমাণে এই অ্যাসিড জমলে হজমজনিত সমস্যা হতে পারে। কফি শরীরে কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করলেও এটি স্নায়ুদতন্ত্রের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। কফির বীজে ক্যাফেইন ও অন্যান্য অম্লীয় উপাদান রয়েছে যা পাকস্থলীর গায়ে ক্ষত সৃষ্টি করে আলসার ও গ্যাসট্রিকের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। কফিতে থাকা ক্যাফিন ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা দিনে তিন কাপের বেশি কফি পান করেন তাঁদের ঘুম খুব কম হয়। বলা হয় দৈনিক পাঁচ কাপের বেশি কফি খেলে গর্ভধারণের ক্ষমতা কমে যেতে পারে। দৈনিক ২০০ মি.গ্রাম ক্যাফেইন শরীরে গেলে গর্ভের শিশুর ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি জন্মক্রটি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কফিতে থাকা ক্যাফিন আদতে ডাইউরেটিক পদার্থ। অর্থাৎ, কফি খেলে ঘন ঘন মূত্রবেগ আসে। ফলে শরীরে জলের ঘাটতি হয়। কফিতে উচ্চ মাত্রায় ক্যাফেইন থাকে। মা হওয়ার পর ঘুম কাটাতে কফি খাওয়া একেবারেই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। তাই উপকার পেতে নিয়ন্ত্রণে রেখে খেতে হবে কফি। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।